Skip to content

This repository I will write all of basic knowledge about programming. Here I will write about the topics that are common in every programming language.

Notifications You must be signed in to change notification settings

shahidul50/Programming-Basic-Knowledge

Folders and files

NameName
Last commit message
Last commit date

Latest commit

 

History

4 Commits
 
 

Repository files navigation

Programming Basic Knowledge

আমরা যারা Programming শেখার চিন্তা করছি আমাদের মনে অনেক ধরণের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। আমিও যখন Programming শুরু করেছিলাম তখন আমারও সকলের মত এই বিষয়গুলো মাথায় আসত। সেই বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই Article টি লিখব। এই Article টি পড়লে একজন Beginner হিসেবে আমারা Programming নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারব। এই সকল বিষয়গুলো আমাদের কিন্তু মুখস্ত করতে হবে না। এগুলো পড়লে Programming নিয়ে একটা ভাল Overview পাব যেটা আমাদের ভবিষ্যতে অনেক কাজে লাগবে। তাই চলুন আর দেরি না করে শুরু করি। Programming শেখার আগে আমাদের যেসকল বিষয় জানা প্রয়োজন তা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে:

Table of Contents

  • Computer কি?

  • Computer কিভাবে কাজ করে?

  • Program কি?

  • চলুন জেনে নিই, Program এর ধারণা কিভাবে এলো?

  • Programming কি?

  • Programming Language বলতে কি বুঝায়?

  • চলুন জেনে নিই, Programming শেখা আর Programming Language শেখার মধ্যে পার্থক্য কী?

  • চলুন জেনে নিই, Programming শেখার উপকারিতা কি কি?

  • চলুন জেনে নিই Programming এর প্রকারভেদ সম্পর্কে?

  • Machine ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • Assembly ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • Mid Level ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • High Level ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • Machine Code এবং Byte Code কি?

  • Assembler কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

  • Compiler কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

  • Interpreter কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

  • Compiler এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • Interpreter এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • JIT(Just-In-Time) Compiler কি? এর ব্যবহার কোথায় হয়? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

  • JIT(Just-In-Time) Compiler এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

  • Token কি?

  • Keyword কি? Keyword এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর ব্যবহারগুলো কি কি?

  • Identifier কি? Identifier এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? Identifier তৈরির নিয়মগুলো কি কি? এর ব্যবহারগুলো কি কি?

  • Literal কি? Identifier এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর ধরন গুলো কি কি?

  • Statement কি?

  • Expression কি?

  • Syntax কি?

  • Algorithm কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এটি আমাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

  • Pseudo Code কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর উপকারিতাগুলো কি কি?

  • Bug কি ? Debug কি?

  • চলুন জেনে নিই, Programming এর মাধ্যমে কীভাবে একটি Problem এর সমাধান করা যায়?

  • একজন Beginner হিসেবে "প্রোগ্রামিং এর আদ্যোপ্রান্ত" বইটি আমরা কেন পড়ব?

  • Computer কি?

    Computer হল একটি Electronics Device যা Data গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং আউটপুট হিসেবে তথ্য সরবরাহ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি নির্দিষ্ট Program বা Instructions(নির্দেশনার) মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে এবং দ্রুত ও নির্ভুলভাবে গণনা, তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম।

    Computer প্রধানত চারটি অংশে বিভক্ত:

    1. Input Unit ⇒ Data বা Information(তথ্য) Computer এ প্রবেশ করানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: Keyboard, Mouse ইত্যাদি।
    2. Processing Unit(CPU) ⇒ এটি মস্তিষ্কের মতো কাজ করে এবং Data প্রক্রিয়াকরণ করে।
    3. Memory(RAM, Storage) ⇒ Data সংরক্ষণ এবং দ্রুত Access করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
    4. Output Unit ⇒ প্রক্রিয়াজাত তথ্যকে ব্যবহারকারীর কাছে Display(প্রদর্শন করে)। যেমন: Monitor, Printer ইত্যাদি।

    Computer কে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

    1. Hardware ⇒ যা শারীরিকভাবে দৃশ্যমান এবং স্পর্শযোগ্য।
    2. Software ⇒ যা নির্দেশনা বা প্রোগ্রাম আকারে কাজ করে।

    Computer বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন: লেখালেখি, Design, Programming, Database Management, যোগাযোগ এবং বিনোদন ইত্যাদি।


  • Computer কিভাবে কাজ করে?

    Computer একটি সুনির্দিষ্ট ধাপে কাজ করে। এটি সাধারণত Input, Processing, Storage, এবং Output - এই চারটি প্রধান ধাপের মাধ্যমে কার্য সম্পন্ন করে। নিচে এর কার্যপ্রণালী বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

    1. Input Stage

    Computer কাজ শুরু করার জন্য প্রথমে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে Data বা Instruction(নির্দেশনা) গ্রহণ করে। এই ধাপটি সম্পন্ন করতে Input Device ব্যবহার করা হয়। কিছু সাধারণ Input Device হলো:

    • Keyboard ⇒ ব্যবহারকারী Keyboard এর মাধ্যমে Computer এর তথ্য প্রবাহিত করেন। যেমন, লেখা, Command, সংখ্যা ইত্যাদি।
    • Mouse ⇒ Mouse এর মাধ্যমে আমরা Computer এর Screen এ Objects(যেমন Icon) নির্বাচন করি, Drag করি, বা Click করে কোনো Action Complete করি।
    • Microphone ⇒ Voice Input দেয়ার জন্য Microphone ব্যবহার করা হয়।
    • Scanner/Camera ⇒ Image, Document বা অন্যান্য Visual Input Device এর মাধ্যমে তথ্য Computer এ প্রবাহিত হয়।

    যেভাবে Input কাজ করে থাকেঃ

    • ব্যবহারকারী Data সরবরাহ করে Keyboard, Mouse, Microphone, Camera ইত্যাদি Input Device এর মাধ্যমে।
    • Input Device সরবরাহকৃত Data কে Digital Format এ রূপান্তরিত করে।
    • এই Data তারপর Processing Unit এ পাঠানো হয়।

    উদাহরণ:

    • Keyboard এ "A" Typed করলে ASCII Code আকারে এটি Processing Unit এ যায়।
    • Mouse Click করলে তার Position এর তথ্য Processor এর কাছে যায়।

    2. Processing Stage

    Input Data, Processing Unit(CPU) এ পাঠানো হয়। CPU-ই Computer এর প্রধান কাজগুলো সম্পন্ন করে।

    CPU-এর কাজ

    CPU বা Central Processing Unit তিনটি অংশ নিয়ে কাজ করে:

    1. Control Unit(CU)
      • সমস্ত Device এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।
      • Input থেকে Data নিয়ে কোথায় পাঠাতে হবে তা নির্ধারণ করে।
      • নির্দেশনা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে।
    2. Arithmetic Logic Unit(ALU)
      • গাণিতিক গণনা (যেমন যোগ, বিয়োগ) এবং Logical Operation(যেমন তুলনা করা, শর্ত যাচাই করা) সম্পন্ন করে।
      • উদাহরণ: যদি "2 + 2" হয়, ALU এই যোগফল নির্ণয় করবে।
    3. Register ও Cache Memory
      • অস্থায়ীভাবে Data সংরক্ষণ করে।
      • CPU যখন প্রক্রিয়াকরণের জন্য Data ব্যবহার করে, তখন এটি Register এ থাকে।

    উদাহরণ

    • যদি ব্যবহারকারী কোনো সংখ্যা যোগ করতে বলে (যেমন 5 + 3), CPU সেই সংখ্যাগুলো ALU-তে পাঠিয়ে ফলাফল নির্ধারণ করে।
    • Email Check করার ক্ষেত্রে, CPU সারা Internet থেকে Data Process করে এবং Output আকারে ব্যবহারকারীকে দেখায়।
    1. Memory and Storage Stage

      Processing চলাকালীন এবং পরে Data সংরক্ষণ করার জন্য Memory ব্যবহৃত হয়। এটি দুই ধরনের হতে পারে:

      1. Primary Memory(RAM)
        • অস্থায়ী Memory যা দ্রুত Data Access এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
        • Processing চলাকালে Data এখানে সংরক্ষিত থাকে।
      2. Secondary Storage
        • দীর্ঘমেয়াদী সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
        • উদাহরণ: Hard Drive(HDD), Solid State Drive(SSD), USB Drive ইত্যাদি।

      উদাহরণ

      • একটি Video Play করার সময় Video Data RAM-এ Load হয় এবং Processing শেষে ফলাফল দেখানো হয়।
      • যখন কোনো Document Save করা হয়, তখন এটি Hard Drive সংরক্ষিত হয়।
    2. Output Stage

      Processing শেষ হলে ফলাফল ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এটি Output Device এর মাধ্যমে ঘটে। যেমন:

      • Monitor ⇒ Data বা তথ্য Screen এ দেখায়।
      • Printer ⇒ Document Print করে।
      • Speaker ⇒ Audio আকারে তথ্য সরবরাহ করে।

      উদাহরণ:

      • ক্যালকুলেটরে 5 + 3 লিখে "Enter" চাপলে Output এ 8 Monitor এ Display(প্রদর্শিত) হয়।
      • একটি Image(ছবি) সম্পাদনা করার পর সেই Image টি Monitor এ দেখানো হয়।
    3. Feedback Stage

      Output দেখার পর ব্যবহারকারী আবার নতুন কোনো Input দিলে সেটি আবার Input Stage এ চলে যায় এবং পুরো প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হয়।

      • উদাহরণ: আমরা একটি Game খেললে, সেখানে প্রতিটি Click বা Movement Feedback হিসেবে কাজ করে।
    4. Software

      Computer এর Hardware শুধুমাত্র তথ্য প্রক্রিয়া করতে পারে, কিন্তু Software তাকে নির্দেশনা দেয় এবং সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে। Software হল Computer এর Program বা Application যা ব্যবহারকারীকে কাজ করতে সহায়ক হয়। Software দুটি ভাগে বিভক্ত:

      • System Software ⇒ এটি Hardware এবং Application Software এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে, যেমন Operating System(Windows, Linux, MacOS).
      • Application Software ⇒ এটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন Microsoft Office, Graphics Design Software বা Internet Browse ইত্যাদি।

    Computer একটি জটিল যন্ত্র যা বিভিন্ন উপাদান দ্বারা কাজ করে: Input Device, Processing Unit, Storage, Output Device এবং Software. এই উপাদানগুলি একে অপরের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে, যাতে Computer ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সাহায্য করতে পারে।


  • Program কি?

    Program হল একটি বিশেষ কাজ সম্পাদন করার জন্য Computer এর ভাষায় লেখা Code এর একটি Set বা সংগ্রহ। এটি একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা Command বা নির্দেশনাগুলির সমষ্টি। Program টি Computer বা অন্য কোনো যন্ত্রে Run করা হয় এবং এটি এক বা একাধিক নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। উদাহরণ:

    • একটি গণনা Program যা দুটি সংখ্যার যোগফল বের করবে।
    • একটি Word Processor Program(যেমন Microsoft Word), যা আমরা Document তৈরি করতে ব্যবহার করি।

    এখানে Program হল সেই Code বা Software যা Computer কে নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে নির্দেশ দেয়। Computer একটি Program নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। Program ছাড়া Computer দিয়ে কোন কাজ করা যায় না। Program বিহীন Computer একটি কর্মহীন নির্জীব জড় বস্তু ছাড়া আর কিছুই নয়। Computer দিয়ে কাজ করতে হলে সেই কাজের উপযোগী Program এর প্রয়োজন হয়।

    এছাড়া Computer একটি Electronics যন্ত্র। প্রতিটি Electronics যন্ত্রের মত Computer কেবল বিদ্যুতের উপস্থিতি আর অনুপস্থিতি বুঝতে পারে। বিদ্যুতের উপস্থিতিকে Binary Number 1 আর অনুপস্থিতিকে Binary Number 0 দ্বারা বুঝানো হয়। একগুচ্ছ Binary Number 0 ও 1 দ্বারা এক একটি নির্দেশ গঠিত হয়, যা দ্বারা Computer কোন একটি নির্দিষ্ট কাজ করে থাকে। Computer এর বোধগম্য এরুপ অসংখ্য নির্দেশ পরপর সাজিয়ে Program তৈরি করা হয়। প্রতিটি Program একটি নির্দিষ্ট ধরণের সমস্যার সমাধান করে তথা একটি নির্দিষ্ট ধরণের কাজ করে থাকে। Binary 0 ও 1 দ্বারা যে সকল Program লেখা হয় তা Computer সরাসরি বুঝতে পারে। এজন্য এ ভাষাকে Computer এর নিজস্ব ভাষা বলা হয়। এটাকে Machine ভাষা বা যান্ত্রিক ভাষাও বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে Machine ভাষা বা যান্ত্রিক ভাষা ছাড়াও আরও অনেক কৃত্রিম ভাষার সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল ভাষায় 0 ও 1 এর পরবর্তিতে সাধারণ ভাষা(ইংরেজি ভাষার) শব্দাবলী প্রয়োগ করে Computer এ নির্দেশ প্রধান করা যায় তথা Program রচনা করা যায়। Computer এর বোধগম্য এরুপ নির্দেশমালার সাহায্যে তৈরি হয় এক একটি Program. Program এবং Program এর সমষ্টিকে বলা হয় Software.


  • চলুন জেনে নিই, Program এর ধারণা কিভাবে এলো?

    Program বা Programming এর ধারণা একটি দীর্ঘ ইতিহাসের ফল, যা গণনা এবং Algorithmic চিন্তা থেকে ধীরে ধীরে আধুনিক Computer Science ও Software Development এ পরিণত হয়েছে। এর পেছনে অনেক বৈজ্ঞানিক চিন্তা ও আবিষ্কার রয়েছে, এবং এটি মূলত বিভিন্ন যুগে গণনা এবং সমস্যা সমাধানের নতুন পদ্ধতির মধ্যে বিকশিত হয়েছে।

    নিচে Program এবং Programming এর ইতিহাস আরও বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হল:

    1. প্রথম গণনা যন্ত্রের ধারণা:

      প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ গণনা এবং পরিমাপের জন্য বিভিন্ন যন্ত্র ব্যবহার করত। এর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং পরিচিত যন্ত্রগুলির মধ্যে আবাকাস (Abacus) অন্যতম, যা খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালেও ব্যবহার করা হতো। যদিও এটি একটি Mechanical Device, তবে এটি কোনও Programming Language এ নির্দেশনা লিখে কাজ করার মতো কিছু ছিল না। তবে এর মাধ্যমে গণনা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম এবং ধাপ ছিল, যেগুলি পরে Programming এর ভিত্তি হিসেবে কাজে এসেছে।

    2. Charles Babbage(চার্লস ব্যাবেজ) এবং প্রথম Mechanical Computer:

      Charles Babbage ১৮৩০-এর দশকে প্রথম Difference Engine Design করেন, যা একটি Mechanical Computer ছিল এবং গণনার জন্য ব্যবহৃত হত। Babbage এর এই প্রকল্প ছিল একটি বড় পদক্ষেপ গণনা প্রক্রিয়াকে Automatic(স্বয়ংক্রিয়) করার দিকে। Babbage এর পরবর্তীতে Analytical Engine Design করেন, যা একটি অনেক বেশি উদ্ভাবনী Design ছিল। এটি ছিল একটি সাধারণ উদ্দেশ্যের Computer যা Binary Code এর ব্যবহার করেছিল এবং Programable ছিল। এই Analytical Engine -এর জন্য Babbage এর প্রথম Programming ধারণাটি তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে Machine টি কার্যকরী হতে পারত যদি তাকে সঠিক Instruction দেওয়া হত।

    3. Ada Lovelace(অ্যাডা লাভলেস):

      Ada Lovelace, Charles Babbage এর সহযোগী, ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি Computer Programming এর ধারণাকে পুরোপুরি বুঝতে এবং প্রমাণ করতে পেরেছিলেন। তিনি Analytical Engine এর জন্য একটি Program প্রোগ্রাম তৈরি করেন, যা ১৮৪৩ সালে একটি গাণিতিক সিরিজ গণনা করবে। Ada Lovelace তার Program এ প্রথমে Babbage এর Machine এ কাজ করার জন্য Logical Instructions ব্যবহার করেন এবং Machine এর মাধ্যমে সেই Instruction কে কাজে লাগানোর একটি প্রক্রিয়া স্থাপন করেন। এই কাজটিকে ইতিহাসের প্রথম "Computer Program" হিসেবে ধরা হয়। তার কাজ আজকের দিনে Programing এর Algorithm বা Coding Language এর মূল ভিত্তি স্থাপন করে।

    4. Turing Machine এবং তত্ত্বগত ভিত্তি:

      দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, এলান টিউরিং (Alan Turing) ১৯৩৬ সালে একটি তাত্ত্বিক Model প্রস্তাব করেন, যার নাম Turing Machine. Turing Machine একটি মৌলিক গণনা যন্ত্রের Model যা Algorithm বা Program কীভাবে কাজ করে, তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দেয়। এটি প্রমাণ করেছিল যে, কোন নির্দিষ্ট Program বা Algorithm যদি কার্যকরী থাকে, তবে একটি নির্দিষ্ট যন্ত্র বা Machine (যেমন Computer) সেই Program টি চালাতে পারবে। এটি গণনা তত্ত্ব এবং Computer Science কে একটি তাত্ত্বিক ভিত্তি প্রদান করে, এবং Program এর ধারণাকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে।

    5. Machine Code এবং Assembly Language:

      ১৯৪০-এর দশক থেকে Computer Electrically তৈরি হতে শুরু করেছিল, এবং এই সময় থেকেই Computer এ Machine Code ব্যবহৃত হত। Machine Code ছিল একটি Computer বা যন্ত্রের জন্য নির্দিষ্ট, Binary Language(0 এবং 1) যা Execute করার জন্য Computer এর Program ছিল। কিন্তু Machine Code এর সাথে কাজ করা ছিল খুবই কঠিন, তাই আসেম্বলি ভাষা (Assembly Language) তৈরি করা হল, যা Machine Code এর একটি উচ্চ স্তরের ভাষা ছিল এবং ব্যবহারকারীরা আরও সহজে কাজ করতে পারতেন। আসেম্বলি ভাষায়, Computer এর Memory ও Register নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু Code ছিল, যা Code লেখার প্রক্রিয়াকে অনেক সহজ করেছিল। এটি ছিল মূলত Programming এর প্রথম ধাপ, যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি Code লিখে কাজ করতে পারতেন।

    6. প্রথম উচ্চ স্তরের Programming ভাষা:

      ১৯৫০-এর দশকে প্রথম উচ্চ স্তরের প্রোগ্রামিং ভাষা তৈরি করা হয়, যেমন FORTRAN, যা মূলত বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক গণনা করতে ব্যবহৃত হত। এরপর COBOL এবং LISP ভাষাগুলি তৈরি হয়, যা আরও বহুল ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ভাষাগুলি Man-Machine Interface তৈরি করে, যেখানে ব্যবহারকারী Code লেখার সময় অনেকটা প্রকৃত ভাষার মতো ভাবতে পারত। এই ভাষাগুলির সাহায্যে Code লেখা অনেক সহজ এবং গতিময় হয়ে ওঠে।

    7. Computer এবং Programming এর আধুনিক যুগ:

      ১৯৭০-৮০ দশক থেকে Computer Technology(প্রযুক্তি) ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। Programming Language গুলোর সংখ্যা এবং বৈশিষ্ট্য আরও সমৃদ্ধ হতে থাকে। নতুন নতুন Language যেমন সি (C), পাইথন (Python), জাভা (Java), জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) ইত্যাদি Computer Science ও Software Development এর ক্ষেত্রকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করে। এই Language গুলি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও শক্তিশালী, ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং দক্ষ Program তৈরি করার সুযোগ প্রদান করে। এছাড়াও Object Oriented Programming(OOP), Functional Programming, Logical Programming এবং Declarative Programming এর মত Paradigm গুলোর উদ্ভব ঘটে, যা Programming এর Structure(গঠন) এবং Language(ভাষা) তৈরি করার পদ্ধতিকে আরও গতিশীল ও নমনীয় করে তোলে।

    8. আজকের দিনে প্রোগ্রামের ধারণা:

      আজকের দিনে Program হল একাধিক Code এর একটি সংকলন যা Computer কে নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করার জন্য Instruction(নির্দেশনা) দেয়। এটি সরাসরি Software, Application, Website, Game, Database ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। Programming হল সেই প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি Program তৈরি হয় এবং সেটা বাস্তবায়ন করা হয়। অন্যদিকে, Machine Learning, Artificial Intelligence(AI) এবং Big Data প্রযুক্তির উদ্ভবের সাথে Programming এর ধারণাও আরও জটিল ও Intelligence হয়ে উঠছে।

    সুতারাং, Program এর ধারণা মূলত গণনা এবং Algorithm থেকে উৎপন্ন হয়েছে, যা অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও Computer প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আধুনিক Programming Language এবং Software এ পরিণত হয়েছে। Charles Babbage, Ada Lovelace, Alan Turing এবং পরবর্তীতে Machine Code থেকে উচ্চ স্তরের ভাষা পর্যন্ত প্রতিটি যুগ Program এবং Programming এর ধারণাকে আরও পরিশীলিত করেছে, যা আজকের দিনে আমাদের দৈনন্দিন প্রযুক্তি ব্যবহারের অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ।


  • Programming কি?

    Programming হল সেই Process বা প্রক্রিয়া যা দিয়ে আমরা একটি Program তৈরি করি। এটি হল Code লেখা, Logic তৈরি করা, এবং Computer এর ভাষায় সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করার প্রক্রিয়া। Programming এর মাধ্যমে আমরা Program তৈরি করি, যা পরবর্তীতে Computer বা অন্য Device এর মাধ্যমে Execute(কার্যকর) করা হয়।

    • Program হচ্ছে Code এর একটি Single Unit যা একটি নির্দিষ্ট কাজ করে।
    • আর Programing হচ্ছে সেই Program তৈরি করার প্রক্রিয়া।

    যেমন, আমরা একটি গণনা Program তৈরি করতে চাই এখন আমরা এই Program টি তৈরি করার জন্য Code লিখব, Code লেখার এই প্রক্রিয়াটাকে বলা হচ্ছে Programming.


  • Programming Language বলতে কি বুঝায়?

    Programming Language হলো Computer Program তৈরির জন্য ব্যবহৃত ভাষা। এটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলি বা Syntax এবং শব্দাবলী(Vocabulary) অনুসারে Computer বা অন্যান্য Digital Device এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য ব্যবহৃত ভাষা। এটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী বা Developers Computer কে নির্দিষ্ট কাজ করতে Instruction(নির্দেশ) দেয়। Programming Language দিয়ে Program লেখা হয়, যা Computer কে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম করে। Programming Language ব্যবহার করে, আমরা Computer কে বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে বলি, যেমন -

    • Calculation(গণনা),
    • Data Processing,
    • User Interface(UI) তৈরি,
    • Game Development ইত্যাদি।

    একটি Programming Language এর মাধ্যমে Computer কে নির্দেশ দেওয়ার জন্য সাধারণত Syntax এবং Semantics এর নিয়মাবলী অনুসরণ করা হয়।

    Programming Language এর কিছু উদাহরণ:

    1. C ⇒ এটি একটি পুরনো এবং জনপ্রিয় Programming Language যা সাধারণত System Programming এবং Software Development এ ব্যবহৃত হয়।
    2. Python ⇒ এটি একটি High Level ভাষা যা সহজে শিখা যায় এবং Web Development, Data Science এবং যেকোনো ধরণের Software Development এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    3. Java ⇒ এটি একটি Object Oriented Programming Language(OOP), যা বিভিন্ন ধরনের Application Development এর জন্য ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে Enterprise Level Application তৈরি এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    4. JavaScript ⇒ এটি Webpage এর Interactivity বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে এটা ব্যবহার করে অনেক কাজ করা যায়।
    5. Ruby ⇒ এটি একটি High Level Programming Language, যা Web Development এ জনপ্রিয়।

    Programming Language এর ধরন:

    • Low-level Languages ⇒ যেমন Machine Language এবং Assembly Language যা সরাসরি Computer Hardware এর সাথে কাজ করে।
    • High-level Languages ⇒ যেমন C, Java, Python, JavaScript, PHP, যা মানুষের জন্য বুঝতে সহজ, এবং Computer কে সহজেই বুঝিয়ে দেয় কীভাবে কাজ করতে হবে।

    Programming Language এ Program লেখার মাধ্যমে, আমরা Computer এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের Software এবং Application তৈরি করতে পারি।


  • চলুন জেনে নিই, Programming শেখা আর Programming Language শেখার মধ্যে পার্থক্য কী?

    Programming শেখা এবং Programming Language শেখা এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। আসুন সেগুলো বিস্তারিতভাবে বুঝে নেওয়া যাক:

    Programming শেখা:

    • Programming শেখার মূল উদ্দেশ্য হলো সমস্যা সমাধানের ধারণা ও পদ্ধতি শেখা।
    • এটি আমাদের যুক্তি এবং সমস্যা সমাধানের কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করে। এখানে আমরা কোন ভাষা ব্যবহার করছি, তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।
    • Programming শেখার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে একটি নির্দিষ্ট সমস্যা থেকে Algorithm তৈরি করতে হয় এবং সেটি বাস্তবায়ন করার জন্য Code লিখতে হয়।
    • উদাহরণস্বরূপ, একটি নির্দিষ্ট কাজ যেমন দুটি সংখ্যা যোগ করার জন্য একটি Algorithm তৈরি করতে শেখা। Programming শেখার মধ্যে এটি বুঝতে হবে যে কিভাবে একটি কাজ সাজানো যায়, ভাষা না চিন্তা করেই। অর্থাৎ তা পরে যেকোনো ভাষায় Code করা যাবে।

    Programming Language শেখা:

    • Programming Language শেখা মানে হলো নির্দিষ্ট একটি Codding ভাষা শেখা, যেমন Python, Java, C++ ইত্যাদি।
    • এখানে মূলত আমরা শিখে থাকি একটি ভাষার Syntax(যেমন কীভাবে Code লিখতে হয়), Data Structure এবং Function/Class কিভাবে ব্যবহার করতে হয়।
    • উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা Python শিখি, তবে আমরা Python এর Syntax(যেমন কীভাবে Code এ Indention দিতে হবে), বিভিন্ন Datatype(যেমন list, tuple), Function তৈরি ইত্যাদি শিখব।

    এভাবে বলা যায়, Programming শেখা অনেকটা একটি ধারণাগত দক্ষতা অর্জন করা, যেখানে Programming Language শেখা হলো সেই দক্ষতাকে বাস্তবায়িত করার জন্য নির্দিষ্ট টুলস বা ভাষা শেখা।


  • চলুন জেনে নিই, Programming শেখার উপকারিতা কি কি?

    Programming শেখার উপকারিতা অনেকগুলো এবং এটি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। নিচে কিছু প্রধান উপকারিতা তুলে ধরা হলো:

    1. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি ⇒ Programming শেখার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন সমস্যা চিন্তা করে সমাধান করতে শিখব। এটি আমাদের Thinking Process উন্নত করে এবং আমরা আরও কার্যকরভাবে সমস্যার সমাধান করতে পারব।
    2. Logical চিন্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা ⇒ Programming শেখার ফলে আমাদের Logical চিন্তা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতা উন্নত হয়। Code লেখা এবং সমস্যা সমাধান করতে গেলে প্রতিনিয়ত আমাদের Logical ভাবে চিন্তা করতে হয়।
    3. দক্ষতা বৃদ্ধি এবং Career সম্ভাবনা ⇒ বর্তমানে অনেক চাকরি, বিশেষ করে Technology, Engineering এবং Data Science সম্পর্কিত ক্ষেত্রগুলোতে Programming দক্ষতার চাহিদা রয়েছে। Programming জানলে আমরা ভালো চাকরি পেতে পারি এবং Career বিকাশের সুযোগ পাব।
    4. স্বাধীন কাজের সুযোগ ⇒ Programming শেখার মাধ্যমে আমরা Freelance কাজ করতে পারব, নিজে একটি ব্যবসা শুরু করতে পারব বা Startup প্রতিষ্ঠা করতে পারব। অনেক Freelancing Platform এ Programming দক্ষতার চাহিদা রয়েছে।
    5. নতুন কিছু সৃষ্টি এবং উদ্ভাবন ⇒ Programming শেখার মাধ্যমে আমরা নতুন Software, Application, Game বা Technology(প্রযুক্তি) উদ্ভাবন করতে পারি। এটি আমাদের সৃজনশীলতা বাড়ায় এবং আমাদেরকে নতুন কিছু তৈরি করার আগ্রহ দেয়।
    6. সময় এবং কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো ⇒ Programming ব্যবহার করে আমরা অনেক ধরনের কাজ Automatic করতে পারি, যার ফলে সময় বাঁচানো এবং কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। যেমন দৈনন্দিন কাজগুলো Automated করে দেওয়া, Data Analysis সহজ করা ইত্যাদি।
    7. Critical Thinking ⇒ Programming শেখার ফলে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে শিখব এবং আমরা একাধিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি সমস্যাকে দেখতে সক্ষম হব, যা আমাদের চিন্তার গভীরতা এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতা বাড়ায়।
    8. দলবদ্ধ কাজের ক্ষমতা ⇒ Programming শিখলে আমরা দলবদ্ধভাবে কাজ করার সুযোগ পাব, কারণ Software Development বা Programming প্রকল্পে একাধিক ব্যক্তি একসাথে কাজ করে। এটি আমাদের সহযোগিতামূলক কাজের ক্ষমতা বাড়ায়।
    9. অর্থনৈতিক দিক থেকে সুবিধা ⇒ Programming শেখার মাধ্যমে আমরা বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি করতে পারব। যেমন, Freelancing, Online Course তৈরি, বা Software Development এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা।
    10. অবসর সময়ের সুচিন্তিত ব্যবহার ⇒ Programming শেখা আমাদের অবসর সময়ে মস্তিষ্ককে সচল রাখে এবং আপনার চিন্তা-ভাবনা তীক্ষ্ণ করে, যা একদিকে যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তেমনি অন্যদিকে আমাদেরকে ব্যক্তিগত জীবনে আরো দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক হতে সাহায্য করে।

    এভাবে, Programming শেখার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত দক্ষতা অর্জন করতে পারি, যা আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে সহায়ক হতে পারে।


  • চলুন জেনে নিই Programming এর প্রকারভেদ সম্পর্কে?

    Programming বিভিন্ন প্রকার হতে পারে এবং আমরা বিভিন্ন নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে Programming এর প্রকারভেদ করতে পারি। মূলত নিম্নলিখিত প্রধান শ্রেণীগুলির উপর ভিত্তি করে Programming প্রকারভেদ করা হয়:

    1. Programming Paradigm এর উপর ভিত্তি করে:

    Programming Paradigms(পদ্ধতি) হলো এমন এক ধারণা যা বলে দেয় Program কীভাবে কাজ করবে। এটি Programming এর Style এবং Problem Solving এর দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে। ভিন্ন ভিন্ন Paradigm, Programming Problem Solving এর ভিন্ন ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে। এটি Programming ভাষার মূল কাঠামো এবং মৌলিক ধারণাকে প্রতিনিধিত্ব করে। একটি Programming Language একাধিক Paradigm সমর্থন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, Python হলো একটি Multi-Paradigm Language যা Object-Oriented, Procedural, এবং Functional প্রোগ্রামিং Style সমর্থন করে।

    প্রাথমিকভাবে Programming Paradigms কে আমরা দুইভাগে বিভক্ত করতে পারি। যথাঃ

    1. Imperative Programming.
    2. Declarative Programming.

    Imperative Programming.(কীভাবে কাজ হবে তা বলে)

    Imperative Programming Language হল একটি Programming Paradigm যেখানে Program টি কীভাবে কাজটি সম্পাদন করতে হবে, তা Step-by-step Instruction(নির্দেশনা) দিয়ে বর্ণিত হয়। এখানে Programmer কে প্রতিটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য সঠিক Statement বা Command দিতে হয়, যা System কে নির্দেশ দেয় কীভাবে Data পরিবর্তন বা Process করতে হবে।

    এটি "What to do" নয়, বরং "How to do" এর উপর বেশি ফোকাস করে। Imperative Programming Language এ, Programmer কে Statement গুলো প্রদান করতে হয় যা System কে নির্দেশ দেয় কিভাবে কাজটি করতে হবে, এবং Program টি সময়ের সাথে সাথে অবস্থান পরিবর্তন করে। Imperative Programming Language এর কিছু উদাহারণ হলঃ Assembly Language, C, C++, Java, Python (যদিও এটি Mixed Paradigm Language), JavaScript (যদিও এটি Mixed Paradigm Language) ইত্যাদি।

    Imperative Programming Language কে আমরা দুইভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ

    1. Procedural Programming.
    2. Object Oriented Programming.

    Procedural Programming:

    Procedural Programming হচ্ছে Programming এর একটি পদ্ধতি যেখানে Program গুলি ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট কাজ সম্পন্ন করার জন্য লেখা হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে বলে দিতে হয় যে একটা সমস্যার সমাধান কীভাবে করতে হবে। প্রতিটি Step আমাদেরকে লিখে দিয়ে হয়। যেমনঃ C, Pascal, COBOL, Fortran, BASIC, Rust, PHP ইত্যাদি।

    Object Oriented Programming(OOP):

    Object-Oriented Programming হলো Programming এর আরেকটি পদ্ধতি যেখানে Programmers এরা Object ব্যবহার করে Program তৈরী করেন। প্রতিটি Object তার Data এবং Method ধারণ করে। OOP-এর চারটি মূল নীতি হল: Encapsulation, Inheritance, Polymorphism, এবং Abstraction.

    নিচে OOP-ভিত্তিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ Programming Language এর তালিকা দেওয়া হলো।

    • Pure Object-Oriented Languages (শুধুমাত্র OOP): যেসব ভাষা শুধুমাত্র Object-Oriented Paradigm সমর্থন করে।

      • Smalltalk: এটি প্রথম বিশুদ্ধ OOP ভাষা এবং OOP ধারণার পথপ্রদর্শক।
      • Ruby: সহজ এবং সম্পূর্ণ OOP ভিত্তিক।
      • Eiffel: একটি গবেষণা ভিত্তিক OOP ভাষা।
    • Hybrid Object-Oriented Languages(OOP + অন্যান্য Paradigm): বেশিরভাগ আধুনিক Programming Language Object-Oriented Paradigm এর পাশাপাশি Procedural এবং Functional পদ্ধতিও সমর্থন করে।

      • C++ ⇒ Object-Oriented এবং Procedural Paradigm সমর্থন করে।
      • Java ⇒ পূর্ণাঙ্গ OOP ভাষা এবং বহুল ব্যবহৃত।
      • C# ⇒ Microsoft-এর তৈরি, যা OOP এবং Functional Paradigm সমর্থন করে।
      • Python ⇒ OOP ধারণা সহজভাবে প্রয়োগ করা যায়, কিন্তু এটি Multi-Paradigm.
      • PHP ⇒ Web Development এর জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি OOP ভাষা।
      • JavaScript ⇒ Browser এবং Web Development এর জন্য ব্যবহৃত, ES6 থেকে Class এবং Object সমর্থন করে। এছাড়াও Functional Paradigm সমর্থন করে।
      • TypeScript ⇒ JavaScript-এর উপর ভিত্তি করে, যা Static Typing এবং OOP সমর্থন করে।
      • Kotlin ⇒ Android Development এর জন্য উপযোগী, এটি সম্পূর্ণ OOP এবং Functional Paradigm সমর্থন করে।
      • Perl ⇒ System Administration এবং Web Development এর জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • Go (Golang) ⇒ একটি Hybrid Language, যেখানে OOP ধারণাগুলো সীমিতভাবে ব্যবহার করা যায়।
      • Scala ⇒ Functional এবং Object-Oriented Paradigm সমর্থন করে।
      • Rust ⇒ OOP ধারণা সমর্থন করে, তবে এটি Performance এবং Memory-Safe Language।
      • R ⇒ Data Analysis এবং Visualization এর জন্য ব্যবহৃত হয়। OOP ধারণা সমর্থন করে।

      এছাড়াও আরও অনেক OOP Programming Language রয়েছে। উপরের Language গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক Language বেছে নিলে আমরা Object-Oriented Programming থেকে সেরা সুবিধা নিতে পারব।

    Declarative Programming.(কী করতে হবে তা বলে)

    Declarative Programming হলো একটি Programming Paradigm যেখানে আমরা শুধু "কী করতে হবে" তা নির্ধারণ করব, কিন্তু "কীভাবে করতে হবে" তা নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। এটি High-Level Programming Language এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার একটি পদ্ধতি, যেখানে সমস্যার কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের উপর Focus করা হয়, এবং কাজের প্রক্রিয়া বা ধাপগুলোর দিকে কম মনোযোগ দেওয়া হয়। Declarative Programming Language এর কিছু উদাহারণ হলঃ SQL, HTML, Prolog, Mercury ইত্যাদি।

    Declarative Programming Language কে আমরা তিনভাগে ভাগ করতে পারি। যথাঃ

    1. Functional Programming.
    2. Logical Programming.
    3. Reactive Programming

    Functional Programming:

    Functional Programming হলো Programming এর একটি Paradigm যেখানে সমস্যার সমাধানে Function এর ব্যবহারকে প্রাধান্য দেওয়া হয় যা Code এর পুনরায় ব্যবহারযোগ্যতা এবং কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এই পদ্ধতিতে Function গুলোকে First-Class Function বা Higher Order Function হিসেবে বিবেচনা করা হয়, অর্থাৎ Function কে Variable হিসেবে Pass করা, Return করা, বা সংরক্ষণ করা সম্ভব। এটি "Declarative Programming" পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে কাজ করে, যেখানে কীভাবে কাজ হবে তার চেয়ে "কী করতে হবে" বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

    নিচে কয়েকটি জনপ্রিয় Functional Programming ভাষার তালিকা দেওয়া হলো:

    • Purely Functional Languages (শুধুমাত্র Functional): এগুলোতে শুধুমাত্র Functional Programming পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
      • Haskell: একটি বিশুদ্ধ ফাংশনাল ভাষা যা Lazy Evaluation এবং Immutable Data ব্যবহারের জন্য পরিচিত।
      • Erlang: Concurrent সিস্টেম এবং Distributed Systems তৈরির জন্য উপযোগী।
    • Hybrid Object-Oriented Languages(Functional+ অন্যান্য Paradigm): এগুলো ফাংশনাল পদ্ধতির পাশাপাশি অন্যান্য পদ্ধতি (যেমন: Object-Oriented, Procedural) সমর্থন করে।
      • JavaScript: ES6 থেকে JavaScript-এ Functional Programming এর Features(যেমন: Higher-Order Functions, Map, Reduce) যুক্ত হয়েছে।
      • Python: Functional Programming এর Features(যেমন: Lambda Functions, Map, Filter, Reduce) সমর্থন করে।
      • Rust: Performance এবং Memory-Safe Language যা Functional Programming Features সমর্থন করে।
      • Kotlin: Functional এবং Object-Oriented Paradigm সমর্থন করে। এটি Android Development-এ বহুল ব্যবহৃত।
      • F# (F Sharp): Microsoft এর একটি ভাষা যা Functional এবং Object-Oriented Paradigm সমর্থন করে।
      • Scala: Functional এবং Object-Oriented Paradigm সমর্থন করে। এটি JVM-এ রান করে।
      • Clojure: JVM-ভিত্তিক একটি Functional Language যা Lisp-এর উপর ভিত্তি করে।

    এছাড়াও আরও অনেক Functional Programming Language রয়েছে। উপরের Language গুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক Language বেছে নিলে আমরা Functional Programming থেকে সেরা সুবিধা নিতে পারব।

    Logical Programming:

    Logical Programming হলো একটি Programming Paradigm যা Logic বা যুক্তি ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করে। এতে Data এবং Information নিয়ে কাজ করার নিয়মাবলী(rules) সংজ্ঞায়িত করা হয় এবং সেগুলো থেকে নতুন তথ্য বা ফলাফল বের করার জন্য যান্ত্রিক যুক্তি প্রয়োগ করা হয়। Logical Programming মূলত Declarative Programming পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। আর আমরা জানি এই পদ্ধতিতে শুধু কি করতে হবে বা Logical Programming এর ক্ষেত্রে কী সত্যি(what is true) সেটা আমরা বলে দিয়ে থাকি এবং System তা থেকে নিজে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়ে "কীভাবে সমাধান বের করতে হবে" তা নির্ধারণ করে থাকে। Logical Programming-এর Language গুলো এমনভাবে Design করা হয়েছে যাতে Logic, Rules এবং facts ভিত্তিক Programming সহজ হয়। নিচে Logical Programming-এর জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ভাষাগুলোর তালিকা দেওয়া হলো:

    • Prolog ⇒ এটি হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয় Logical Programming Language। "Facts" এবং "Rules" এর উপর ভিত্তি করে সমস্যার সমাধান করে। Backtracking এবং Logical Inference ব্যবহৃত হয়। এটা ব্যবহার করা হয় Artificial Intelligence (AI), Natural Language Processing (NLP), Expert Systems ইত্যাদিতে।
    • Datalog ⇒ এটি Prolog-এর একটি সহজ সংস্করণ। এটা হচ্ছে Declarative Query Language যা Database Logic নিয়ে কাজ করে। এটি Immutable Data ব্যবহার করে। এটা ব্যবহার করা হয় Database Query, Deductive Databases, Knowledge Representation ইত্যাদিতে।
    • Mercury ⇒ এটি Prolog-এর একটি উন্নত সংস্করণ। এটা একটা High-Level এবং High-Performance Logical Programming Language। এটা ব্যবহার করা হয় Large-Scale AI Systems, Data Analysis এবং Optimization ইত্যাদিতে।
    • Golog ⇒ এটাও Prolog এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। Dynamic Systems মডেল করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া Automated Planning, Robotics এবং Intelligent Agents ইত্যাদিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।
    • Flora-2 ⇒ এটা Logical এবং Object-Oriented Programming Paradigm এর সমন্বয়। এটা Semantic Web Applications, AI এবং Data Management ইত্যাদিতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
    • Alice ⇒ এটা Functional এবং Logical Programming Paradigm এর সমন্বয়। এটা AI এবং Logical Problem Solving এর ক্ষেত্রগুলোতে ব্যবহার হয়ে থাকে।
    • ASP (Answer Set Programming) ⇒ এটা Complex Problems এর জন্য Logical Rules এর ভিত্তিতে Answer Sets তৈরি করে। এটা ব্যবহার হয়ে থাকে Problem Solving, AI এবং Robotics ইত্যাদিতে।

    এছাড়া আরও অনেক Logical Programming Language রয়েছে। এই Language গুলো বিশেষত AI, Expert Systems, Knowledge Representation, এবং Semantic Web এর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। Prolog, Mercury, এবং Datalog এর মতো ভাষাগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য Logical Programming শেখার একটি চমৎকার মাধ্যম।

    Reactive Programming:

    Reactive Programming হলো একটি Programming Paradigm যা Data Streams এবং Change Propagation এর ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে Program, Real Time Event এবং পরিবর্তনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়। Reactive Programming মূলত ব্যবহৃত হয় এমন System তৈরি করতে যেখানে Data বা Event এর পরিবর্তন দ্রুত এবং Automatically Program এর বিভিন্ন অংশে প্রভাব ফেলে।

    Reactive Programming-এর জন্য নির্দিষ্ট ভাষার পাশাপাশি বিভিন্ন Library এবং Framework ব্যবহৃত হয়। নিচে Reactive Programming সমর্থনকারী জনপ্রিয় ভাষা এবং Library এর তালিকা দেওয়া হলো:

    • Java

      • Reactive Libraries:
        • RxJava: Java এর জন্য Reactive Extensions।
        • Project Reactor: Spring Framework এর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।

      এগুলো ব্যবহার হয় Web, API Development, Microservices.

    • JavaScript

      • Reactive Libraries:
        • RxJS: Reactive Extensions for JavaScript.
        • Bacon.js: Data Streams এবং Event Handling এর জন্য।
        • Most.js: High-performance Reactive Programming Library.

      এগুলো ব্যবহার হয় Web Apps, UI State Management তৈরিতে।

    • Python

      • Reactive Libraries:
        • RxPY: Python এর জন্য Reactive Extensions.
        • Trio: Asynchronous Programming এর জন্য উপযোগী।

      এগুলো ব্যবহার হয় Asynchronous Systems, Data Streams তৈরিতে।

    • C# (.NET Framework)

      • Reactive Libraries:
        • Reactive Extensions (Rx.NET): .NET এর জন্য Reactive Framework.
        • UniRx: Unity-তে Reactive Programming এর জন্য।

      এগুলো ব্যবহার হয় Windows Apps, Game Development তৈরিতে।

    • Kotlin

      • Reactive Libraries:
        • Kotlin Flow: Kotlin-এর জন্য আধুনিক Reactive API।
        • RxKotlin: RxJava এর Kotlin Implementation.

      এগুলো ব্যবহার হয় Mobile Apps, Backend Services তৈরিতে।

    • Dart (Flutter)

      • Reactive Libraries:
        • Streams API: Dart ভাষায় Build-in.
        • RxDart: Flutter এর জন্য Reactive Programming Library.

      এগুলো ব্যবহার হয় Flutter-based Mobile Apps তৈরিতে।

    • Swift (iOS Development)

      • Reactive Libraries:
        • RxSwift: iOS Application এর জন্য।
        • Combine: Apple এর নিজস্ব Reactive Framework

      এগুলো ব্যবহার হয় iOS Apps, Apple Ecosystem তৈরিতে।

    • Ruby

      • Reactive Libraries:
        • ReactiveRuby: Reactive Programming এর জন্য Ruby Framework.

      এগুলো ব্যবহার হয় Web Apps, Asynchronous Systems তৈরিতে।

    • Rust

      • Reactive Libraries:
        • RxRust: Rust এর জন্য Reactive Extensions

      এগুলো ব্যবহার হয় High-Performance Systems তৈরিতে।

    Reactive Programming সমর্থনকারী Framework গুলো হলঃ

    1. Angular (JavaScript Framework):
      • RxJS ব্যবহার করে।
      • Reactive Forms এবং State Management এর জন্য কার্যকর।
    2. Spring WebFlux (Java Framework):
      • Non-Blocking এবং Reactive Programming সমর্থন করে।
    3. React (JavaScript Library):
      • React Native সহ State এবং Event Management এর জন্য।
    4. Flutter (Dart Framework):
      • Reactive Streams এবং RxDart ব্যবহার করে UI আপডেট পরিচালনা করে।

    Reactive Programming বিভিন্ন ভাষা এবং Library সমর্থন করে যা বিশেষ করে Real Time Data Processing, Event-Driven Architecture এবং User Interface Update পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হয়। RxJS, RxJava, Akka Streams, এবং RxDart এর মতো Library এই পদ্ধতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম।

    2. Compilation Method এর উপর ভিত্তি করে:

    • Compiled Languages
      • Code সরাসরি machine Code এ অনুবাদ হয়।
      • উদাহরণ: C, C++
      • ব্যবহার: High-Performance Applications।
    • Interpreted Languages
      • Code Line-By-Line অনুবাদ এবং কার্যকর হয়।
      • উদাহরণ: Python, JavaScript.
      • ব্যবহার: Script এবং Dynamic Applications।
    • Hybrid Languages
      • কিছু অংশ Compile এবং কিছু অংশ Interpret হয়।
      • উদাহরণ: Java (Bytecode + JVM)

    3. Generation(প্রজন্ম) এর উপর ভিত্তি করে:

    • প্রথম প্রজন্মের ভাষা(১৯৪৫) ⇒ Machine বা যান্ত্রিক ভাষা।
    • দ্বিতীয় প্রজন্মের ভাষা(১৯৫০) ⇒ Assembly ভাষা। যেমন Assembly, MASM.
    • তৃতীয় প্রজন্মের ভাষা(১৯৬০) ⇒ উচ্চতর ভাষা। যেমন C, C++, Java, Python, Fortran.
    • চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা(১৯৭০) ⇒ 4GL বা অতি উচ্চতর ভাষা। যেমন SQL, MATLAB, ABAP, Delphi.
    • পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা(১৯৮০) ⇒ স্বাভাবিক বা ন্যাচেরাল ভাষা। যেমন Prolog, Mercury, Lisp, Erlang.

    4. Language Structure এর উপর ভিত্তি করে:

    • Low-Level Programming
      • সরাসরি মেশিনের কাছাকাছি।
      • উদাহরণ: Assembly Language
      • ব্যবহার: Hardware Interaction।
    • Middle-Level Programming
      • Low-Level এবং High-Level এর সংমিশ্রণ।
      • উদাহরণ: C
      • ব্যবহার: System এবং Application Software।
    • High-Level Programming
      • মানুষের পড়া এবং লেখার জন্য সহজ।
      • উদাহরণ: Python, Java, C++
      • ব্যবহার: General Applications.

    5. ব্যবহার ক্ষেত্রের এর উপর ভিত্তি করে:

    • System Programming
      • System Software যেমন Operating System, Driver তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • উদাহরণ: C, C++
      • ব্যবহার: Kernel Development, Embedded Systems.
    • Web Programming
      • Website এবং Web App তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • উদাহরণ: HTML, CSS, JavaScript, PHP.
      • ব্যবহার: Web Frontend ও Backend Development.
    • Mobile Application Programming
      • Mobile App Development করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • উদাহরণ: Kotlin (Android), Swift (iOS).
      • ব্যবহার: Mobile Applications.
    • Game Programming
      • বিভিন্ন Game তৈরির করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
      • উদাহরণ: C++, C#, Unity
      • ব্যবহার: 2D/3D Games, Virtual Reality.
    • Scientific and Data Analysis Programming
      • Math এবং Data Analysis এর জন্য ব্যবহার হয়।
      • উদাহরণ: Python, R, MATLAB
      • ব্যবহার: Data Science, Statistics, Numerical Analysis.
    • Artificial Intelligence and Machine Learning Programming
      • Machine Learning Model এবং AI তৈরির জন্য ব্যবহার হয়।
      • উদাহরণ: Python, Lisp, Prolog
      • ব্যবহার: Chatbots, Recommendation Systems.

    6. Programming Models এর উপর ভিত্তি করে:

    • Concurrent Programming
      • একাধিক কাজ একত্রে সম্পন্ন।
      • উদাহরণ: Java (Multithreading), Go.
    • Distributed Programming
      • Network এ বিভক্ত System Management.
      • উদাহরণ: Python, Java.
    • Parallel Programming
      • একাধিক Processor ব্যবহার করে কাজ।
      • উদাহরণ: CUDA, OpenMP.
    • Reactive Programming
      • Data এর পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া।
      • উদাহরণ: RxJava.

    সুতারাং পরিশেষে বলা যায়, আমাদের কাজের ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় Programming Language এবং পদ্ধতি নির্বাচন করলে সমস্যার সমাধান আরও কার্যকর হবে। Python, JavaScript, C, C++ ইত্যাদি ভাষা শেখা শুরু করলে আমরা অনেক ভিন্ন প্রকারের পদ্ধতি এবং ক্ষেত্র সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারব।


  • Machine ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    Computer Machine এর নিজস্ব ভাষাকে Machine ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা বলে। Machine ভাষা হলো Computer বা Microprocessor এর জন্য সবচেয়ে মৌলিক এবং সরাসরি বোঝার উপযোগী ভাষা। এটি Binary Code এ (0 এবং 1 এর সমন্বয়ে) লেখা হয়, যা Computer Hardware দ্বারা সরাসরি কার্যকর করা যায়। Machine ভাষায় Computer যেসব Instruction(নির্দেশনা) গ্রহণ করে, সেগুলো Program এর Command হিসেবে বিবেচিত হয়।

    Machine ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. Binary Code এ লেখা ⇒ Machine ভাষা শুধুমাত্র 0 এবং 1 (Binary সংখ্যা) ব্যবহার করে লেখা হয়, যা Computer Hardware(যেমন Processor) বুঝতে পারে।
    2. Computer দ্বারা সরাসরি কার্যকরী ⇒ Machine ভাষায় লেখা কোনো Program Computer সরাসরি নির্বাহ (execute) করতে পারে, কোন মাধ্যমে ভাষার অনুবাদ (translation) ছাড়াই।
    3. Processor নির্ভর ⇒ মেশিন ভাষা বিভিন্ন Processor এর জন্য আলাদা হতে পারে, কারণ বিভিন্ন Processor এর জন্য Instruction সেট ভিন্ন হয়।
    4. উচ্চ গতির কাজ ⇒ Machine ভাষা সরাসরি Hardware দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় এটি দ্রুত কাজ করতে পারে।

    Machine ভাষার সুবিধাসমূহ:

    1. উচ্চ গতির কার্যকরী ⇒ Machine ভাষা সরাসরি Computer Hardware এর সাথে কাজ করে, তাই এর কার্যক্ষমতা খুব দ্রুত।
    2. Computer দ্বারা পূর্ণাঙ্গভাবে বোঝা ⇒ কোনো রূপে অনুবাদের প্রয়োজন হয় না, যা Program এর দ্রুত সম্পাদনা নিশ্চিত করে।
    3. নির্ভুলতা ⇒ Machine ভাষায় কোনো ভাষাগত ত্রুটি বা ভুল হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম, কারণ এটি নির্দিষ্ট Code এবং নির্দেশনায় ভিত্তি করে কাজ করে।

    Machine ভাষার অসুবিধাসমূহ:

    1. মানুষের পড়া কঠিন ⇒ Machine ভাষার Code(Binary Code) মানুষের জন্য বোঝা অত্যন্ত কঠিন, কারণ এটি শুধু 0 এবং 1 এর সংমিশ্রণ।
    2. যথাযথ Coding দক্ষতা প্রয়োজন ⇒ Machine ভাষায় Programming করার জন্য গভীর প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন।
    3. Portable নয় ⇒ Machine ভাষা এক Processor এর জন্য লিখিত হলে অন্য Processor এ সেটা চলবে না, কারণ Instruction সেট আলাদা হতে পারে।
    4. দীর্ঘ Programming সময় ⇒ Machine ভাষায় Code লেখা এবং সংশোধন করতে বেশি সময় এবং পরিশ্রম লাগে।

  • Assembly ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    Assembly ভাষা হল একটি Computer Programming ভাষা যা সরাসরি Computer এর Hardware, বিশেষ করে Processor এর সাথে কাজ করার জন্য Design করা হয়েছে। এটি Machine ভাষার সাথে তুলনামূলকভাবে এক ধাপ উপরে থাকে এবং Programming ভাষার একটি নীচু স্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত।

    Assembly ভাষার Code গুলি Machine ভাষায় রূপান্তরিত করার জন্য একটি বিশেষ Program, যা Assembler(অ্যাসেম্বলার) নামে পরিচিত এটা ব্যবহার করা হয়।

    Assembly ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. Machine ভাষার প্রতিনিধিত্ব ⇒ Assembly ভাষা মূলত Machine ভাষার প্রতীকী রূপ, যেখানে Binary Code এর পরিবর্তে Memory Location, Register বা Instruction শব্দ ব্যবহার করা হয়।
    2. Machine Code এর কাছাকাছি ⇒ Assembly ভাষা Machine Code এর কাছাকাছি থাকে, তাই এটি Computer কে খুব সোজা এবং দ্রুত Instruction দিতে পারে।
    3. Processor নির্ভর ⇒ Assembly ভাষাও Processor নির্ভর, অর্থাৎ, এক Processor এর জন্য লেখা Code অন্য Processor এর জন্য কাজ নাও করতে পারে। যেমন, x86 বা ARM-এর জন্য আলাদা Assembly ভাষা প্রয়োজন।
    4. নির্দিষ্ট Register ব্যবহারের ক্ষমতা ⇒ Assembly ভাষার মাধ্যমে আমরা সরাসরি Processor এর Register গুলির সাথে কাজ করতে পারব।
    5. Computer Hardware এর সাথে সরাসরি Interaction ⇒ Assembly ভাষা ব্যবহার করে Computer Hardware যেমন Memory, Input এবং Output Device, এবং অন্যান্য উপাদানের সাথে সরাসরি কাজ করা যায়।
    6. বর্ণনা-মুখী (Mnemonics) ⇒ Assembly ভাষায় ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন Mnemonics, যেমন MOV, ADD, SUB, যা Machine ভাষার Binary Code এর জন্য প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
    7. Computer দ্বারা নির্বাহযোগ্য নয় সরাসরি ⇒ Assembly ভাষায় লেখা Code সরাসরি Computer এর মাধ্যমে চালানো সম্ভব নয়, একে প্রথমে Assembler দিয়ে Machine ভাষায় রূপান্তর করতে হয়।

    Assembly ভাষার সুবিধাসমূহ:

    1. দ্রুত এবং কার্যকরী ⇒ Assembly ভাষা Machine ভাষার খুব কাছাকাছি হওয়ায় এটি অত্যন্ত দ্রুত এবং কার্যকরী। এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে কার্যকর Code তৈরি করা যায়।
    2. Computer Hardware এর উপর নিয়ন্ত্রণ ⇒ Assembly ভাষা ব্যবহার করে Programmer, Hardware এর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, যেমন Memory পরিচালনা, Register ব্যবহার ইত্যাদি।
    3. সম্পূর্ণ Optimization ⇒ Assembly ভাষায় Code Optimize করা সম্ভব, কারণ Programmer Memory এবং Processor এর Resource গুলির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
    • উচ্চ কার্যক্ষমতা ⇒ Assembly ভাষায় Code Compile হওয়ার পরে Machine Code এ রূপান্তরিত হয়, যা সরাসরি Hardware এ কাজ করে। এর ফলে এটি দ্রুত এবং কার্যকরী হতে পারে।
    • নির্দিষ্ট Hardware Configuration ⇒ যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট Hardware এর জন্য Code লিখতে চাই, তবে Assembly ভাষা সাহায্য করে।
    • Compact কোড ⇒ Assembly ভাষায় লিখিত Code সাধারণত খুব ছোট এবং দ্রুত কার্যকর হয়, কারণ এতে প্রয়োজনীয় Memory Space কম ব্যবহৃত হয়।
    • কম স্থান দখল ⇒ Assembly ভাষায় Program গুলি সাধারণত কম Memory ব্যবহার করে, কারণ এটি খুব সংক্ষিপ্ত এবং সরাসরি Machine ভাষায় কাজ করে।
    • বিশেষ উদ্দেশ্যে ব্যবহার ⇒ Software Optimization এর জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট Hardware চালানোর জন্য Assembly ভাষা খুবই কার্যকরী।

    Assembly ভাষার অসুবিধাসমূহ:

    1. বেশি জটিলতা ⇒ Assembly ভাষা শিখতে এবং ব্যবহার করতে অনেক কঠিন, কারণ এটি Machine ভাষার খুব কাছাকাছি থাকে এবং এতে কমপক্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে Computer Architecture সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকতে হয়।
    2. Code লেখা সময়সাপেক্ষ ⇒ Assembly ভাষায় Code লেখা অন্যান্য High Level ভাষার তুলনায় অনেক বেশি সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাধ্য। কারণ এখানে অনেক বেশি Manual কাজের প্রয়োজন হয় এবং Code এর পাঠযোগ্যতা কম।
    3. Portable নয় ⇒ Assembly ভাষার Code এক Processor এর জন্য লেখা হলে অন্য Processor এ সেটি চলবে না, কারণ প্রতিটি Processor এর Instructions সেট ভিন্ন হতে পারে।
    4. এখনকার সময়ের উন্নত প্রয়োজনীয়তা ⇒ বর্তমান সময়ের বেশিরভাগ Programming ভাষা High Level এবং Assembly ভাষার প্রয়োজন অনেকটাই কমে গেছে। তাই, Assembly ভাষার ব্যবহার শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ, যেমন Operating System এর Development, Embedded System ইত্যাদি।

    Assembly ভাষা Computer এর Hardware এর সাথে সরাসরি কাজ করতে সাহায্য করে এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে খুব কার্যকরী হতে পারে, কিন্তু এটি অত্যন্ত জটিল এবং সময়সাপেক্ষ, তাই সাধারণ Programming কাজের জন্য High Level ভাষা (যেমন C, Python, Java) ব্যবহৃত হয়।


  • Mid Level ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    Mid-level ভাষা বলতে সাধারণত এমন একটি Programming ভাষাকে বোঝানো হয় যা উচ্চ স্তরের ভাষা (High-level language) এবং নিম্ন স্তরের ভাষা (Low-level language) এর মধ্যে অবস্থান করে। এই ভাষাগুলো মূলত Hardware ও Software এর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে, এবং তাদের মধ্যে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। এর মাধ্যমে আমরা সরাসরি Hardware নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, কিন্তু এর Syntax বা Concept High Level ভাষার মতো সহজও হয়। এর মাধ্যমে উন্নত ফিচার যেমন Portability, Programming সুবিধা, এবং সরাসরি Memory Access পাওয়া যায়।

    Mid Level ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. Hardware নিয়ন্ত্রণ ⇒ Mid Level ভাষাগুলো সাধারণত Assembly ভাষা এবং C এর মতো ভাষাগুলির মতো, যা Hardware এর কাছে কাজ করতে সক্ষম হয়। এতে আমরা Pointer বা Memory Access এর মাধ্যমে Computer Hardware নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
    2. Memory Manipulation ⇒ এটি Programmer কে সরাসরি Memory Address নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়, যেমন Pointer ব্যবহার, যা সাধারণত High Level ভাষায় পাওয়া যায় না।
    3. Hardware এর কাছে Access ⇒ Mid Level ভাষায় Program গুলি সরাসরি Hardware এবং Operating System এর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম। যেমন CPU, RAM, ইত্যাদির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা যায়, ফলে Operating System এবং Computer Management সহজ হয়।
    4. Portability ⇒ যদিও এটি Hardware নির্ভর, তবে ভালোভাবে Design করা Mid Level ভাষার Program গুলি একে অপরের উপর Portable হতে পারে, যেমন C ভাষার Program গুলি বিভিন্ন Platform এ Run করা।
    5. Performance ⇒ এই ভাষাগুলো সাধারণত দ্রুত রান করে কারণ সেগুলো Computer System এর নিকটস্থ থাকে এবং বেশি Optimized হয়ে থাকে।
    6. Assembly ভাষার কাছাকাছি ⇒ Mid Level ভাষা প্রায়শই Assembly ভাষার মতো, কিন্তু এর কিছু সুবিধা যেমন Automatic Memory Management ইত্যাদি থাকে।

    Mid Level ভাষার সুবিধা:

    1. Performance ⇒ Computer System এর সাথে বেশি সংযুক্ত হওয়ায়, এর Code সাধারণত দ্রুত ও দক্ষভাবে Run করে।
    2. নিয়ন্ত্রণ ⇒ Memory, Hardware এবং System Resource এর উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়।
    3. Portability ⇒ কিছু Mid Level ভাষা বিভিন্ন Platform এ চলতে পারে (যেমন C). তবে, Code এর সামান্য পরিবর্তন বা সামঞ্জস্যের প্রয়োজন হতে পারে।
    4. বড় System Development ⇒ Operating System, Driver, Academic Software, Embedded System ইত্যাদি তৈরির জন্য উপযুক্ত।

    Mid Level ভাষার অসুবিধা:

    1. Complexity ⇒ এটি কিছুটা জটিল হতে পারে, বিশেষ করে যখন Programmer কে Memory এবং Hardware নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। যা নতুন বা অল্প অভিজ্ঞ Programmers এর জন্য কঠিন হতে পারে।
    2. Memory Management ⇒ যদিও এটি অনেক সুবিধা দেয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে Manual Memory Management Programmers এর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, যেমন Memory Lick.
    3. সময়সাপেক্ষ ⇒ Code লেখার সময়ে কিছু সময় এটি Compile হতে সময় নিতে পারে এবং Programming এর মধ্যে বেশি মনোযোগ এবং ভুলের জন্য সময় নষ্ট হতে পারে।
    4. Debugging Challenge ⇒ Mid Level ভাষায় Code Debug করা তুলনামূলকভাবে কঠিন হতে পারে, কারণ এটি Hardware এর কাছাকাছি এবং কিছু অংশ আরো Complex.

    সুতারাং, Mid Level ভাষা একটি শক্তিশালী Tool যা Programmers সরাসরি Hardware এর সাথে কাজ করতে দেয়, তবে এটি ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত দক্ষতা এবং মনোযোগ প্রয়োজন।


  • High Level ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    High-level ভাষা (উচ্চস্তরের ভাষা) হল সেই ধরনের Programming ভাষা যা মানুষের জন্য সহজে বোধগম্য এবং Computer কীভাবে কাজ করবে তা প্রদর্শন করার পরিবর্তে Programmer এর কাজকে সহজ করে তোলে। এই ভাষাগুলির Compiler বা Interpreter সরাসরি Computer Hardware এর সাথে কাজ করে, তাই Program লেখার সময় Programmer অনেকটাই Complexity থেকে মুক্তি পেতে পারে।

    High-level ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. মানব পাঠযোগ্যতা ⇒ High-level ভাষাগুলি সাধারণত ইংরেজি ভাষার মতো Semantic ব্যবহার করে, যা Programmers এর Code লেখা সহজ করে তোলে।
    2. Authentication থেকে স্বাধীনতা ⇒ Computer Hardware এর নির্ভরতা থেকে থেকে সম্পূর্ণভাবে থেকে মুক্ত থাকে। Program টি বিভিন্ন ধরনের Computing System এ Run করতে পারে।
    3. Automated Memory Management ⇒ অধিকাংশ High-level ভাষায় Memory ব্যবস্থাপনা Automatically হয় (যেমন Garbage Collection). এতে Manually Memory Allocation করতে হয় না।
    4. Portable ⇒ এক Computer এ লেখা Program অন্য Computer এ Compile করা সম্ভব, যদি সেই Computer ও একই ধরনের Compiler বা Interpreter চালায়।
    5. বৈচিত্র্যময় Data Type এবং Function ⇒ অধিকাংশ High-level ভাষা বিভিন্ন ধরনের Data Type (যেমন, integers, floats, strings) এবং বিভিন্ন ধরনের Function বা Library সরবরাহ করে।
    6. Abstraction ⇒ Complex Computational কাজকে সরলভাবে উপস্থাপন করার জন্য আরও ভালো Abstraction সরবরাহ করে। যেমন, Loop, Conditional Statement ইত্যাদি।

    High-level ভাষার সুবিধা:

    1. সহজ শিখতে ও ব্যবহার করতে ⇒ এই ভাষাগুলি সাধারণত Programmers এর জন্য আরও সহজ, কারণ Code সহজে পড়া ও বোঝা যায়।
    2. কম সময়ে Program তৈরি ⇒ Code লেখার সময় কম সময় লাগে, কারণ Complexity অনেকটাই Abstract করা হয়।
    3. বহু Platform এ কাজ করা যায় ⇒ Portability এর কারণে বিভিন্ন Hardware এ বা Operating System এ একই Code Run করতে পারে।
    4. সংশোধন এবং Debugging সহজ ⇒ Error বা Bug খুঁজে বের করা সহজ হয়, কারণ Code এর গঠন পরিষ্কার থাকে।
    5. Developer Productivity বৃদ্ধি ⇒ Programmers এর সৃজনশীলতা ও কার্যকরী সময় বৃদ্ধি পায়, কারণ তাদের Complex System বিশ্লেষণ বা Manual কাজ করতে হয় না।

    High-level ভাষার অসুবিধা:

    1. Computer Resource বেশি ব্যবহার ⇒ High-level ভাষা সাধারণত Computer এর Resource(যেমন CPU, Memory) বেশি ব্যবহার করে, কারণ এগুলি Hardware Details এ কাজ না করে Abstract করে কাজ করে।
    2. Code Running Time Slow ⇒ High-level ভাষায় Program Run করার সময় অনেক সময় লেগে যেতে পারে, কারণ এটি Compiler বা Interpreter দ্বারা Execute হয় এবং Mid Level Code এর উপর নির্ভরশীল থাকে।
    3. Compiler বা Interpreter এর উপর নির্ভরতা ⇒ High-level ভাষা ব্যবহার করতে হলে Programmer কে নির্দিষ্ট Compiler বা Interpreter এর মাধ্যমে চালাতে হয়, যা কখনও কখনও কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
    4. Hardware এর সাথে সরাসরি Interaction কঠিন ⇒ এই ভাষাগুলির মাধ্যমে Hardware এর সাথে সরাসরি কাজ করা খুবই কঠিন বা সম্ভব নয়।

    সুতরাং, High-level ভাষাগুলি সহজ ব্যবহারযোগ্য, দ্রুত Program তৈরি করা সম্ভব, তবে এগুলির কিছু Computational কার্যকারিতা ও Hardware এর সাথে সম্পর্কিত কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই High-level ভাষা ব্যবহার করার সময়, এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।


  • চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা (4th Generation Language, 4GL) এমন একটি Programming ভাষা যা উচ্চ-স্তরের এবং ব্যবহারকারী বন্ধুত্বপূর্ণ, এবং এর মূল উদ্দেশ্য হল ব্যবহারকারীকে দ্রুত এবং সহজভাবে Software Development এ সহায়তা করা। এই ভাষাগুলি সাধারণত উচ্চ স্তরের Abstraction প্রদান করে এবং বিশেষভাবে Database পরিচালনা, Report Generation, বা Application Development এর জন্য Design করা হয়।

    চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. উচ্চ স্তরের Abstraction ⇒ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষাগুলি Computer Hardware বা Memory Management নিয়ে ভাবার প্রয়োজন হয় না। ব্যবহারকারীকে কম Code লেখার মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করতে সহায়তা করে।
    2. সহজ ব্যবহার ⇒ এটি ব্যবহারকারীকে Complex Code লিখে সময় নষ্ট করতে দেয় না, বরং সহজ এবং স্বাভাবিক ভাষায় Development প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহায়ক।
    3. Database ভিত্তিক Application ⇒ 4GL Database এর সাথে ভালোভাবে কাজ করে। Data Management, কুয়েরি(Query) লেখার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী।
    4. বিনামূল্যে Graphics User Interface(GUI) ⇒ অনেক 4GL Software Package এর মধ্যে সহজ Graphical Interface ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবহারকারীদের জন্য Programming সহজ করে তোলে।
    5. Fast Development ⇒ 4GL ভাষায় কম Code লিখে দ্রুত Application Develop করা সম্ভব।
    6. বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণালী ⇒ 4GL ভাষাগুলি সাধারণত নির্দিষ্ট কাজ যেমন Database, Reporting, Graphics ইত্যাদির জন্য তৈরি হয়।

    চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার সুবিধা:

    1. দ্রুত Programming ⇒ 4GL এর মাধ্যমে Programming অনেক দ্রুত হয়। অনেক সময় কম Code লিখেই Program তৈরি করা যায়।
    2. সহজ সমাধান ⇒ এটি সাধারণত সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব হয়, যার ফলে Software Development এর জটিলতা কমে যায়।
    3. Database Manipulation ⇒ ডেটাবেস কাজের জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী। ব্যবহারকারীরা সহজেই Query, Report এবং Data বিশ্লেষণ করতে পারে।
    4. কম Code লেখার সুবিধা ⇒ 4GL ভাষায় Code কম লেখা হয়, ফলে Program লেখা সহজ এবং ছোট হয়।
    5. Computer Skills কম থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন ⇒ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষায় Code লেখার জন্য গভীর Programming জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না, সুতরাং নতুন Developers এর জন্য এটি সুবিধাজনক।

    চতুর্থ প্রজন্মের ভাষার অসুবিধা:

    1. কম Flexibility ⇒ 4GL কিছু বিশেষ উদ্দেশ্যে তৈরি হওয়ার কারণে, সাধারণ বা অন্যান্য উদ্দেশ্য পূরণের জন্য এটি কমফলদায়ক হতে পারে।
    2. Performance এর সীমাবদ্ধতা ⇒ 4GL এর মাধ্যমে Code এ Optimization সঠিকভাবে করা কঠিন হতে পারে, ফলে অনেক সময় Performance কম হয়।
    3. নির্দিষ্ট কাজের জন্য সীমাবদ্ধতা ⇒ অনেক ক্ষেত্রে 4GL শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধরনের কাজের জন্য উপযোগী, যেমন Database Manipulation বা Report তৈরির কাজ।
    4. Code এর সীমাবদ্ধতা ⇒ Code এর নির্দিষ্ট Structure ও শর্তাবলী থাকায় কোনো জটিল এবং বিশেষত Custom Features এর জন্য কম Flexibility থাকে।

    সুতারাং, 4GL ভাষা মূলত এমন Software Development ভাষা যা ব্যবহারকারীকে সহজ এবং দ্রুত Programming অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এটি বিশেষভাবে Database Manipulation, Report Generation, এবং বিশ্লেষণের জন্য উপযুক্ত, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এর Performance এবং Flexibility সীমিত হতে পারে।


  • পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা (5th Generation Language - 5GL) একটি Programming ভাষার পরবর্তী স্তর, যা মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI) এবং Automated Programming এর জন্য Design করা হয়েছে। এটি সাধারণত Automatically সমস্যার সমাধান করতে পারে, এবং ব্যবহারকারীর Input এর উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম। পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলি মানুষের ভাষা ও সমস্যার সমাধানের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং অনেক সময় 'Declarative Language' হিসেবে পরিচিত, যেখানে ব্যবহারকারী কি করতে চান তা নির্দেশ দেন, কিভাবে তা করতে হবে তা নয়।

    পঞ্চম প্রজন্মের ভাষার বৈশিষ্ট্য:

    1. Declarative প্রকৃতি ⇒ পঞ্চম প্রজন্মের ভাষায় ব্যবহারকারী কেবলমাত্র সমাধানের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য বর্ণনা করে, System নিজে সমস্যার সমাধান করার উপায় বের করে।
    2. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ⇒ এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং Machine Learning এর সাথে কাজ করতে সক্ষম। ভাষাগুলি যেমন Programming এর মাধ্যমে Automatically জ্ঞান অর্জন ও সমস্যার সমাধান করতে পারে।
    3. Automated Programming ⇒ পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলি Automated Program তৈরি করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে কম Code লেখা হয় এবং Programming সহজ হয়।
    4. Natural ভাষার সাথে সঙ্গতি: অনেক পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা Natural ভাষার (যেমন ইংরেজি) সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর ফলে ব্যবহারকারী সহজভাবে ভাষার মাধ্যমে Command প্রদান করতে পারেন।
    5. বর্ধিত সমস্যা সমাধান ক্ষমতা ⇒ এই ভাষাগুলি জটিল সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম, যেমন Logical সমস্যাগুলি, Algorithm বিশ্লেষণ এবং আরও অন্যান্য জটিল সমাধান।

    পঞ্চম প্রজন্মের ভাষার সুবিধা:

    1. সহজ ব্যবহার ⇒ পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলির সাহায্যে Programmers এরা কম Coding করতে পারেন এবং Program তৈরি করা অনেক সহজ হয়।
    2. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের সুবিধা ⇒ পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শক্তি ব্যবহার করে, যার ফলে এটি System কে বুদ্ধিমানভাবে সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম করে।
    3. Automatic সমাধান ⇒ এটি Programming এর ক্ষেত্রে Automate সমাধান প্রদান করে, যা মানবশক্তির উপর নির্ভরশীলতা কমায়।
    4. Declarative Programming ⇒ Programmer কে শুধুমাত্র লক্ষ্য বা সমস্যা নির্ধারণ করতে হয়, তা সমাধান করার জন্য ভাষা বা System নিজে প্রক্রিয়া বের করে।
    5. বিস্তারিত Debugging ⇒ Logical ভাষায় সমস্যা সমাধান সহজতর হয়, এবং Debugging করার সুবিধা থাকে।

    পঞ্চম প্রজন্মের ভাষার অসুবিধা:

    1. প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ⇒ এই ভাষাগুলি Computer System এর প্রক্রিয়াগত পর্যায়ে কার্যকর হতে পারে না, বিশেষ করে যদি System এর যথেষ্ট জায়গা না থাকে।
    2. Comparative Processing ⇒ সাধারণত 5GL-এ Coding করলে System এর Performance কম হতে পারে, কারণ এই ভাষাগুলি সাধারণত অতি সহজ ভাষায় লেখা হয়।
    3. উন্নত Hardware প্রয়োজন ⇒ এই ভাষাগুলির অনেকটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজের জন্য শক্তিশালী Computer এবং Hardware এর প্রয়োজন।
    4. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাধান সীমাবদ্ধতা ⇒ পঞ্চম প্রজন্মের ভাষা শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে কার্যকরী। কম্পিউটার সিস্টেমের ব্যাপক জটিলতায় এদের ব্যবহার সীমাবদ্ধ।
    5. শিখতে কঠিন ⇒ Declarative Programming এবং Logical Programming এর ধারণা অনেকের জন্য নতুন হতে পারে এবং এই ভাষাগুলির কিছু ক্ষেত্রে শিখতে কিছুটা কঠিন হতে পারে।
    6. সম্প্রসারণের সমস্যা ⇒ এই ভাষাগুলি অনেক ক্ষেত্রেই অপর্যাপ্ত হতে পারে বৃহত্তর বা বহুল ব্যবহারিত Software System তৈরির জন্য।

    পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, Automate সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এবং Logical সমাধানের জন্য উপযুক্ত। তবে, এগুলির কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বিশেষত Computer System এ প্রক্রিয়াগত জটিলতা এবং Performance এর দিক থেকে।


  • Machine Code এবং Byte Code কি?

    Machine Code:

    Machine Code হলো সেই Code যা Computer বা Device এর CPU (Central Processing Unit) সরাসরি বুঝতে এবং Execute করতে পারে। এটি এক ধরনের Binary Code যা শুধুমাত্র 0 এবং 1 দিয়ে গঠিত। Machine Code হল Programming ভাষার সবচেয়ে নিচের স্তর, এবং এই Code এর মাধ্যমে একটি Computer তার কাজ করতে সক্ষম হয়।

    Byte Code:

    Byte Code হলো একটি Intermediate(মধ্যবর্তী) Computer Code যা সাধারণত Interpreted বা Portable Programming ভাষার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এক ধরনের Machine Instruction যা সরাসরি কোনও নির্দিষ্ট Hardware বা Processor এর জন্য লেখা হয়নি, বরং এটি একটি Virtual Machine(VM) দ্বারা Execute করা হয়।


  • Assembler কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

    Assembler একটি Program বা Software, যা Assembly ভাষায় লেখা Code কে Machine ভাষায় (Machine Language) রূপান্তর করে। এর মাধ্যমে, একজন Programmer, Assembly Language ব্যবহার করে Program লিখতে পারেন, যেটি পরে Assembler দ্বারা Machine Code এ পরিবর্তিত হয়। উদাহরণঃ

    Assembly Code:

    MOV AX, 5      ; AX রেজিস্টারে ৫ রাখে
    ADD AX, 3      ; AX এর সাথে ৩ যোগ করে

    Machine Code এ রূপান্তর:

    B8 05 00       ; MOV AX, 5
    05 03 00       ; ADD AX, 3
    

    Assembler Program উপরের Assembly Code কে এই Machine Code রূপান্তর করে, যা Processor সরাসরি সম্পাদন করতে পারে।

    Assembler যেভাবে কাজ করে থাকে:

    1. Input Code ⇒ Programmer Assembly ভাষায় Code লিখেন। এই Code কে Source Code বলা হয়।
    2. Symbol Resolution(বিশ্লেষণ ) ⇒ Assembly ভাষায় ব্যবহৃত প্রতীক (যেমন Level, Variable) এবং Opcode শনাক্ত করে।
    3. Conversion ⇒ প্রতিটি Assembly নির্দেশনা (Instruction) সংশ্লিষ্ট Machine Code এ অনুবাদ করে। এটি Processor এর জন্য বোধগম্য Binary বা Hexadecimal Format এ রূপান্তরিত হয়।
    4. Output(Object Code) ⇒ Assembler একটি Object Code বা Machine Code File তৈরি করে, যা সরাসরি Processor এ চালানো যায়।

    Assembler-এর বৈশিষ্ট্য:

    1. Low Level ভাষার অনুবাদক: এটি Assembly ভাষাকে সরাসরি Machine Code অনুবাদ করে।
    2. ধরন অনুযায়ী:
      • Single-pass Assembler: পুরো Code একবারে পড়ে অনুবাদ করে।
      • Two-pass Assembler: প্রথম পাসে Level বা Symbol(প্রতীক) শনাক্ত করে এবং দ্বিতীয় পাসে Machine Code তৈরি করে।
    3. Program এর Instruction পরীক্ষা করে এবং Code এ কোনো ভুল থাকলে তা চিহ্নিত করে।
    4. Program নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় Memory নির্ধারণ করা।
    5. Instruction এবং Data Memory তে সংরক্ষণ করা।

  • Compiler কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

    Compiler হলো একটি Software Program, যা উচ্চ-স্তরের Programming ভাষায় লেখা Code (যেমন C, C++, Java)কে Machine ভাষায় বা Binary Code এ রূপান্তর করে। Machine ভাষা সরাসরি Processor দ্বারা কার্যকর করা যায়। একটি Compiler Code কে অনুবাদ করার পাশাপাশি Programming ভাষার Syntax Check করা, Optimization করা এবং একটি কার্যকর Program তৈরিতে সাহায্য করে। উদাহরণ:

    Source Code (C Language):

    #include <stdio.h>
    int main() {
        printf("Hello, World!");
        return 0;
    }

    Machine Code এ রূপান্তর:

    B8 04 00 00 00 BB 01 00 00 00 B9 00 00 00 00 BA 0D 00 00 00 ...
    

    Compiler যেভাবে কাজ করে থাকে:

    Compiler প্রধানত কয়েকটি ধাপে কাজ করে:

    1. Lexical Analysis:

      • Source Code কে Token এ ভেঙে ফেলা হয়।
      • উদাহরণ: int a = 5; --> int, a, =, 5, ;
    2. Syntax Analysis:

      • Source Code এর Structure(কাঠামো) পরীক্ষা করে, Program টি সঠিক নিয়ম মেনে লেখা হয়েছে কিনা।
      • যদি কোনো Syntax এ Error(ত্রুটি) থাকে, এখানে তা ধরা পড়ে। যেমন একটি বন্ধনী ভুলভাবে খোলা বা বন্ধ করা।
    3. Semantic Analysis:

      • Code এর অর্থপূর্ণতা বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন, Variable এর Datatype সঠিকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা।
      • কোনো Variable আগে ঘোষণা না করেই ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেটা এই ধাপে দেখা হয়।
    4. Intermediate Code Generation:

      • Source Code কে একটি মধ্যবর্তী Code এ রূপান্তরিত করা হয়, যা Machine নিরপেক্ষ।
      • উদাহরণ: a = b + c; --> ADD b, c -> a
    5. Code Optimization:

      • Code এর কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য অপ্রয়োজনীয় Code সরিয়ে ফেলা হয় এবং Execution Time কমানোর চেষ্টা করা হয়।
    6. Code Generation:

      • চূড়ান্ত Machine Code তৈরি করা হয় যা Processor এর জন্য কার্যকর।
      • উদাহরণ: x86, ARM Machine Code.
    7. Error Handling:

      • Code এর যেকোনো Error(ত্রুটি) শনাক্ত করা এবং বার্তা প্রদানের জন্য কাজ করে।
    8. Linking & Loading:

      • Code কে অন্য Library বা Module গুলোর সাথে সংযুক্ত করা হয় এবং সম্পূর্ণ Executable File তৈরি করা হয়।

    Compiler এর বৈশিষ্ট্যসমূহ হল:

    1. একটি পূর্ণাঙ্গ ভাষার রূপান্তর ⇒ Compiler একটি High Level ভাষা থেকে একটি Low Level এর ভাষায় Code কে সম্পূর্ণরূপে রূপান্তরিত করে। Compiler সম্পূর্ণ Program কে একসাথে অনুবাদ করে এবং অনুবাদকৃত Program একসাথে Memory তে সংরক্ষণ করে।
    2. Fast Execution ⇒ একবার Code Compile হলে, Runtime এ দ্রুত Program টি Execute করা যায়, কারণ Machine Code এ রূপান্তরিত Code কে সরাসরি চালানো যায়।
    3. Error Checking ⇒ Compiler Code এর ভুলগুলো সনাক্ত করতে সক্ষম, যেমন Syntax Error, Datatype ভুল, অনুপস্থিত Library File ইত্যাদি। Compiler সকল ভুলের তালিকা একসাথে প্রকাশ করে থাকে।
    4. Debugging ⇒ Compiler এর সাহায্যে Debugging এ বেশি সময় প্রয়োজন হয়।
    5. Portability ⇒ একবার Code Compile হয়ে গেলে, এটি নির্দিষ্ট একটি Platform এর জন্য তৈরি হয় এবং সেটি অন্য Platform এ ব্যবহার করা যায়। তবে, মাঝে মাঝে Code টি পুনরায় Compile করতে হতে পারে Platform এর উপর নির্ভর করে।
    6. দীর্ঘ সময় নেয় ⇒ Compiler Code টি একবারে সম্পূর্ণ রূপে Compile করে, তাই Program Compile হওয়ার সময় তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে। তবে একবার Compile হয়ে গেলে তা দ্রুত চালানো যায়।
    7. Optimization ⇒ Compiler Code টি Optimize করতে পারে যাতে Computing Resource এর ব্যবহার কম হয় এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
    8. একাধিক ভাষা সমর্থন ⇒ অনেক Compiler একাধিক Programming ভাষাকে সমর্থন করে। উদাহরণস্বরূপ, GCC (GNU Compiler Collection) একাধিক ভাষায় Code Compile করতে পারে, যেমন C, C++, Fortran, Ada ইত্যাদি।

    Compiler Programming ভাষার Code কে Computer ব্যবহারের উপযোগী Machine Code এ রূপান্তরিত করে। এটি Programming ভাষার Syntax, Semantic এবং Optimization Check করে কার্যকর Code তৈরি করে, যা Computer এ দ্রুত কার্যকরী হতে সক্ষম।


  • Interpreter কি? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

    Interpreter হলো একটি Software, যা Source Code কে Line-By-Line পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই Execute করে। এটি একটি Programming ভাষার Source Code কে প্রক্রিয়া করার জন্য Step-By-Step নির্দেশনা দেয়, কিন্তু সম্পূর্ণ Program একবারে Compile করার বদলে প্রতি Line এ পর্যালোচনা ও Execute করে। এটি উচ্চ-স্তরের Programming ভাষার (যেমন Python, JavaScript) Code কে সরাসরি Machine ভাষায় রূপান্তর না করে, Execute করার সময় ধাপে ধাপে নির্দেশনা চালায়। উদাহরণঃ

    Source code (Python):

    x = 5
    y = 10
    print(x + y)
    • প্রথম লাইন: x = 5 --> Variable xএ 5 সংরক্ষণ করে।
    • দ্বিতীয় লাইন: y = 10 --> Variable yএ 10 সংরক্ষণ করে।
    • তৃতীয় লাইন: print(x + y) --> দুই Variable এর যোগফল (15) Print করে।

    Result:

    15
    

    Interpreter যেভাবে কাজ করে থাকে:

    Interpreter কাজ করে নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে:

    1. Source Code Input:

      • Programmer যে Code লিখেছেন, তা Interpreter দ্বারা সরাসরি পড়া হয়।
    2. Lexical Analysis:

      • Code টি Lexical Token এ ভেঙে ফেলা হয়, যেমন Keyword, Variable, Operator ইত্যাদি।
    3. Parsing:

      • Token গুলোর উপর ভিত্তি করে Program এর গঠন বিশ্লেষণ করা হয় এবং Syntax Tree তৈরি করা হয়।
    4. Error Checking:

      • Code এর Error(ত্রুটি) শনাক্ত করা হয়। একবার কোনো Error পাওয়া গেলে Interpreter Execution বন্ধ করে।
    5. Execution:

      • Interpreter Line-By-Line Code পড়ে এবং প্রতিটি Statement সঙ্গে সঙ্গেই Execute(কার্যকর) করে।

    Interpreter-এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. Line-By-Line Execution ⇒ Code এর প্রতিটি Line বা Statement একে একে Execute(কার্যকর) করা হয়, অর্থাৎ সম্পূর্ণ Program একবারে অনুবাদ করা হয় না। অনুবাদকৃত Program এর প্রতি Line আলাদাভাবে Memory তে সংরক্ষণ করে।
    2. Dynamic Execution ⇒ Interpreter Execute করার সময়ে Code এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন করতে পারে এবং নতুন Input নিয়ে কাজ করতে পারে। অর্থাৎ কিছু ভাষায়, Runtime এ Dynamic Typing ও Variable ঘোষণা করা যায়।
    3. তৎক্ষণাৎ ফলাফল ⇒ Code লিখে সঙ্গে সঙ্গেই Execute করার সুবিধা দেয়।
    4. Debugging সহজ ⇒ যেহেতু Line-By-Line Code Execute হয়, তাতে কোনো ভুল হলে তা চিহ্নিত করা সহজ। Debugging এ অপেক্ষাকৃত কম সময়ের প্রয়োজন হয়।
    5. Error সনাক্তকরণে সহায়ক ⇒ Code এ কোনো ভুল থাকলে নির্দিষ্ট Line এ Error দেখায়। অর্থাৎ একটি ভুল ধরা পড়লে Program নির্বাহ থেমে যায়।
    6. Portability ⇒ Interpreter একাধিক Platform এ কাজ করতে পারে, যেমন Linux, Windows, বা MacOS, যেখানে Code একইভাবে কাজ করবে, তবে এটি System এর উপর নির্ভরশীল হতে পারে।
    7. কোনও Executable File তৈরি হয় না ⇒ Interpreter সাধারণত Machine Code এ Convert করে না, বরং সরাসরি Source Code চালায়।
    8. বিভিন্ন ভাষা Support ⇒ Interpreter বিভিন্ন Programming ভাষায় ব্যবহার করা যায়, যেমন Python, JavaScript, PHP ইত্যাদি।

    Interpreter হল একটি গুরুত্বপূর্ণ Software যা Code এর Execution প্রক্রিয়াকে সরল এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করে। Interpreter সাধারণত ব্যবহারকারী বা Developer কে সহজে Debug করতে সহায়তা করে, তবে বড় Program বা Code এর ক্ষেত্রে Compiler এর তুলনায় ধীর গতির হতে পারে।


  • Compiler এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    Compiler হল একটি Software Tool যা একটি Programming ভাষায় লেখা Source Code কে Machine Code বা Byte Code এ অনুবাদ করে। এটি সাধারণত উচ্চস্তরের ভাষা (যেমন C, C++, Java) থেকে Computer Programmer এর ভাষা (যেমন Assembly বা Machine code) তে রূপান্তরিত করে। Compiler এর কিছু সুবিধাঅসুবিধা নিচে দেওয়া হলো:

    Compiler-এর সুবিধাগুলো হল:

    1. দ্রুত Execution:
      • একবার Program Compile করা হলে এটি Machine ভাষায় রূপান্তরিত হয়, যা সরাসরি Processor দ্বারা চালানো যায়। এটি একবার Compile হওয়ার পর বারবার Run এর জন্য প্রস্তুত থাকে এবং দ্রুত কাজ করে।
    2. Standalone(স্বাধীন ) Executable File:
      • Compiler একটি Executable File তৈরি করে, যা আলাদা করে কোনও Compiler এর প্রয়োজন ছাড়াই সরাসরি চালানো যায়।
    3. Error Detection(শনাক্তকরণ):
      • Compiler, Source Code এর Code পরীক্ষা করে এবং সমস্ত Error (Syntax Error, Type Error ইত্যাদি) আগেই চিহ্নিত করে, ফলে Programmer Code লিখে শেষ করার পর সমস্যা সহজেই খুঁজে পায়।
    4. Static Type Checking:
      • Compiler Source Code এ Datatype সম্পর্কিত সমস্যা আগেই চিহ্নিত করে, ফলে Program টি Run করার সময় Type সম্পর্কিত Error(ত্রুটি) কম থাকে।
    5. Optimized Code:
      • Compiler, Code Optimize করে তৈরি করে, যা Memory এবং Processing সময় সাশ্রয়ী করে।
    6. Portability:
      • একবার Source Code Compile হয়ে গেলে, সেটা অন্য Machine বা Platform এ চলানোর জন্য কোনো পরিবর্তন প্রয়োজন হয় না (যদি Byte Code এ Compile করা হয়ে থাকে, যেমন Java তে)।
    7. ব্যাপক ব্যবহৃত ভাষা সমর্থন:
      • Compiler-এর মাধ্যমে C, C++, Java ইত্যাদি ভাষার Program সহজেই রূপান্তর করা যায়, যা Software Industry এর মুল চালিকা শক্তি।

    Compiler-এর অসুবিধাগুলো হল:

    1. Compilation Time:
      • একটি বৃহৎ Program Compile করতে সময় লেগে যেতে পারে, এবং সুতরাং Development এর সময় বৃদ্ধি পায়। বিশেষত বড় বড় Project এ এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
    2. Slow Development Process:
      • Code পরিবর্তন করলে সম্পূর্ণ Program পুনরায় Compile করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।
    3. Complex Error Debugging:
      • Compiler একবারে সম্পূর্ণ Code Compile করে Error(ত্রুটি) দেখায়। যদি একাধিক Error থাকে, তখন Error সমাধান করা জটিল হয়ে যায়।
    4. Limited for Dynamic Programming:
      • Runtime Dynamic Feature, যেমন Interpreted Language এ Dynamic Variable তৈরি করা, Compiler দিয়ে সম্ভব নয়।
    5. Unable to Detect Runtime Errors:
      • Compiler শুধুমাত্র Syntax এবং Type সংক্রান্ত Error খুঁজে পায়, তবে Logical বা Runtime Error গুলি (যেমন শূন্য দ্বারা ভাগ করা, Out of Bound Access) Program চালানোর পরেই জানা যায়। তবে Runtime Error শনাক্ত করা এর কাজ নয়।
    6. Debugging কঠিন:
      • Compiler দ্বারা উৎপন্ন Machine Code বা Byte Code সাধারণত Programmers এর জন্য অস্পষ্ট থাকে, ফলে Error শনাক্ত করা এবং Debug করা কঠিন হয়ে যায়।
    7. Memory Management:
      • কিছু Compiler যেমন Garbage Collection বা Memory Management Advance Tools ব্যবহার করে না, ফলে Memory Lick বা অপ্রয়োজনীয় Memory ব্যবহারের সমস্যা তৈরি হতে পারে।

  • Interpreter এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    Interpreter হল এমন একটি Program যা Source Code কে Line-By-Line Execute করে, অর্থাৎ এক এক করে Command চালায়। এটি Programming ভাষায় লেখা Code এর প্রতিটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে একে একে। Interpreter এর কিছু সুবিধাঅসুবিধা নিচে দেওয়া হলো:

    Interpreter-এর সুবিধাগুলো হল:

    1. Easy Development and Debugging:
      • Interpreter Code Line-By-Line পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গেই Execute করে। এতে Debugging প্রক্রিয়া দ্রুত হয় এবং Code এ ভুল থাকলে তা দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। যদি Error থাকে, এটি তাৎক্ষণিকভাবে সেই Line এ লাইনে Error দেখায়।
    2. Instant Feedback:
      • Code লিখে সঙ্গে সঙ্গেই ফলাফল দেখা যায়, যা Development Process দ্রুততর করে।
    3. Support for Dynamic Features:
      • Runtime এ Variable Declare(ঘোষণা) এবং Dynamic Code Execution সম্ভব। যেমন, Python এবং JavaScript-এর মতো ভাষাগুলোতে।
    4. Portability:
      • Source Code বিভিন্ন Platform এ চালানো যেতে পারে, যদি সেখানে Interpreter উপস্থিত থাকে।
    5. Interactive Mode:
      • শেখার এবং পরীক্ষার জন্য Interpreter সমর্থিত ভাষাগুলো খুব কার্যকর, কারণ এটি একটি Interactive Mode এ Line ধরে Code চালানোর সুযোগ দেয়।
    6. No Build Required:
      • Interpreter Program চালানোর জন্য Executable File তৈরির প্রয়োজন হয় না, সরাসরি Source Code থেকে কাজ করে।

    Interpreter-এর অসুবিধাগুলো হল:

    1. Slow Execution ⇒ Line ধরে Code Execute করার কারণে Interpreter, Compiler এর তুলনায় ধীর। বৃহৎ বা জটিল Code এর ক্ষেত্রে এর কার্যক্ষমতা কমে যায়।
    2. Impact(প্রভাব) of Runtime Errors ⇒ Code Execution চলাকালে Error পাওয়া গেলে Program চালানো সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায়।
    3. Lack of Efficiency for Repeated Execution ⇒ প্রতিবার Code চালানোর সময় Interpreter সম্পূর্ণ Code পুনরায় পড়ে এবং Execute করে, যা Compiler ভিত্তিক Code এর তুলনায় কম কার্যকর
    4. No Standalone Executable ⇒ Interpreter কোনো Executable File তৈরি করে না। এটি Runtime এ Source Code পড়ে কাজ করে, ফলে Executable File শেয়ার করা সম্ভব নয়।
    5. Lack of Optimization ⇒ Code Optimization তুলনামূলকভাবে কম, কারণ Interpreter Runtime এ সরাসরি Code Execute করে।
    6. Deployment Complexity ⇒ Source Code Share করার প্রয়োজন হয়, এবং Interpreter উপস্থিত না থাকলে Program চালানো সম্ভব নয়।

  • JIT(Just-In-Time) Compiler কি? এর ব্যবহার কোথায় হয়? এটা কিভাবে কাজ করে? এর বৈশিষ্টগুলো কি কি?

    JIT (Just-In-Time) Compiler হল একটি প্রযুক্তি, যা Program চলাকালীন সময়ে Source Code বা মধ্যবর্তী(Intermediate) Code কে সরাসরি Machine Code এ রূপান্তর করে। এটি Compiler এবং Interpreter-এর মধ্যে একটি সংমিশ্রণ, যা Runtime Optimization এবং Execution Speed উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত Application গুলির Performance উন্নত করতে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ:

    Java প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে JIT-এর কাজ:

    1. Source Code:

      public class Example {
          public static void main(String[] args) {
              for (int i = 0; i < 10; i++) {
                  System.out.println("Hello, JIT!");
              }
          }
      }
    2. Compilation to Bytecode:

      • javac Compiler Source Code কে Bytecode-এ রূপান্তর করে।
    3. JIT Execution:

      • JVM Bytecode নিয়ে JIT Compiler ব্যবহার করে Machine Code এ রূপান্তর করে এবং দ্রুত Loop Execute করে।

    JIT ব্যবহার করা হয়:

    • Java Virtual Machine (JVM):
      • Java Program এর Byte Code, JIT ব্যবহার করে Machine Code এ রূপান্তরিত হয়।
    • .NET Framework:
      • Microsoft .NET এর Common Language Runtime (CLR) JIT ব্যবহার করে।
    • JavaScript Engines:
      • যেমন V8 (Chrome) এবং SpiderMonkey (Firefox), JIT ব্যবহার করে দ্রুত JavaScript Code Execute করে।
    • Python (PyPy):
      • Python-এর একটি বিকল্প Implementation, যেখানে JIT ব্যবহার করা হয়।

    JIT যেভাবে কাজ করে থাকে:

    JIT Compiler সাধারণত নিচের ধাপে কাজ করে:

    1. Bytecode Generation:
      • প্রথমে Source Code কে একটি মধ্যবর্তী Format এ (যেমন Java-এর ক্ষেত্রে Bytecode) রূপান্তর করা হয়, যা Platform নিরপেক্ষ।
    2. Execution Request:
      • যখন Program চালু হয়, তখন JIT Compiler Bytecode বা Intermediate(মধ্যবর্তী) Code কে পর্যায়ক্রমে Machine Code এ রূপান্তর শুরু করে।
    3. Frequently Used Code Identification:
      • JIT Compiler Runtime এ সেই Code অংশগুলো শনাক্ত করে, যা বারবার ব্যবহৃত হয় (যেমন Loop বা Function)।
    4. Translation to Machine Code:
      • শনাক্তকৃত Code কে Machine Code এ রূপান্তরিত করা হয় এবং এটি Cache-এ সংরক্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে সেই অংশটি পুনরায় Execute করার সময় আর অনুবাদ প্রয়োজন হয় না।
    5. Runtime Optimization:
      • JIT Compiler, Code কে Optimize করে Machine Code এ রূপান্তরিত করে, যাতে Execution আরও দ্রুত হয়।
    6. Execution:
      • Machine Code সরাসরি Processor এর মাধ্যমে কার্যকর করা হয়।

    JIT-এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. Runtime Compilation:
      • Program চলার সময় Code Compile করে এবং সঙ্গে সঙ্গেই চালায়।
    2. Dynamic Optimization:
      • Program Execution এর সময় Code এর Performance(কার্যকারিতা) বাড়ানোর জন্য Optimization করে।
    3. Platform Independence:
      • Intermediate(মধ্যবর্তী) Code (Bytecode) তৈরি হওয়ার ফলে JIT বিভিন্ন Platform এ কাজ করতে পারে।
    4. Cache Mechanism:
      • JIT machine Code সংরক্ষণ করে, যাতে পরবর্তী Execution এর সময় আরও দ্রুত সাড়া দেয়।
    5. Frequent Execution Analysis:
      • JIT বারবার ব্যবহৃত Code শনাক্ত করে এবং সেই অংশগুলোকে বিশেষভাবে Optimize করে।
    6. Hybrid Approach:
      • এটি Compiler এবং Interpreter-এর সুবিধাগুলো একত্রিত করে।
    7. Dynamic Typing Support:
      • ভাষাগুলির জন্য, যেমন Java বা C#, যেখানে Typing Runtime এ নির্ধারিত হয়, JIT Compiler দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় যে কীভাবে Code টি কার্যকরভাবে Execute হবে।

    অতএব, JIT Compiler একটি গুরুত্বপূর্ণ Tool, যা Code এর Performance ও কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। JIT Compiler মূলত বড় Application এবং Web Browser এর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী, যেখানে দ্রুত এবং দক্ষ Code Execution প্রয়োজন।


  • JIT(Just-In-Time) Compiler এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কি কি?

    JIT (Just-In-Time) Compiler হল একটি Technique যা Program এর Code কে Runtime (যতটুকু প্রয়োজন হয়) Compile করে। এটি সাধারণত Interpreted ভাষাগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন Java, C#, এবং JavaScript. JIT Compiler একটি Program এর Code কে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে Runtime এ machine Code এ রূপান্তরিত করে, যাতে Program টি দ্রুততম গতিতে চলে। JIT Compiler এর কিছু সুবিধাঅসুবিধা নিচে দেওয়া হলো:

    JIT-এর সুবিধাগুলো হল:

    1. Fast Execution ⇒ JIT Compiler এর প্রধান সুবিধা হল এটি Program এর Code Runtime এ Compile করে, ফলে Code Execution এর গতি উন্নত হয়। একবার Code Compile হয়ে গেলে, তা পরবর্তীতে দ্রুত Execute হয়।
    2. Runtime Optimization ⇒ JIT Compiler Runtime এ Code Optimize করতে পারে, যেমন Loop Optimization, Inline Function Call, এবং Static Data Manipulation. এই কারণে Code আরও দ্রুত চলে।
    3. Platform Independent ⇒ একবার Code Compile হয়ে গেলে, সেই Code নির্দিষ্ট Platform এর জন্য Optimized হয়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন Hardware ও Operating System এ Program চালানোর জন্য JIT ব্যবহার করা যেতে পারে।
    4. Efficient Memory Usage ⇒ JIT Compiler Memory Management এ দক্ষ হতে পারে। এটি Runtime এ যেকোনো ধরনের Data Structure কে Memory থেকে সরিয়ে বা পুনঃব্যবহার করতে পারে, যা Program এর Memory Management কে আরও কার্যকরী করে। এটি শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় Code এর অংশকে Machine Code এ রূপান্তরিত করে।
    5. Dynamic Code Updates ⇒ Code পরিবর্তন বা Update করলে JIT তাৎক্ষণিকভাবে তার কার্যকারিতা বজায় রাখতে পারে।

    JIT-এর অসুবিধাগুলো হল:

    1. Startup Delay ⇒ Program প্রথমবার চালু হওয়ার সময় JIT Compiler মধ্যবর্তী Code কে Machine Code এ রূপান্তর করতে সময় নেয়।
    2. High Resource Usage ⇒ Code ****Compile এবং Optimization এর সময় CPU ও Memory বেশি ব্যবহার হয়। কারণ Compile করা Code Memory তে রাখা হয়, এবং সেই Code পরবর্তীতে আবার ব্যবহৃত হতে পারে। এটি Memory Management কে জটিল করে তোলে।
    3. Compilation Overhead ⇒ Code কে Runtime এ Compile করার জন্য কিছু অতিরিক্ত Computational শক্তির প্রয়োজন হয়। এই অতিরিক্ত Computational Load Program টির সামগ্রিক Performance কে প্রভাবিত করতে পারে।
    4. Unpredictable Behavior ⇒ নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে JIT Optimization কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও দিতে পারে।

  • Token কি?

    Programming বা Computer Science এর ক্ষেত্রে "Token" বলতে সাধারণত Code এর একটি মৌলিক অংশ বা Unit কে বুঝানো হয়, যা ভাষার (Programming Language) Syntax অনুযায়ী অর্থপূর্ণ। একে অন্যভাবে বলতে গেলে, একটি Token হলো Programming ভাষার সবচেয়ে ছোট উপাদান যা বিশেষভাবে একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা কাজ সম্পন্ন করে। উদাহরণস্বরূপ:

    • Keyword ⇒ যেমন if, while, return ইত্যাদি।
    • Identifier ⇒ যেমন Variable বা Function এর নাম।
    • Literal ⇒ যেমন সংখ্যার মান বা String (যেমন 42, "hello" ইত্যাদি)।
    • Operator ⇒ যেমন +, , , /, = ইত্যাদি।
    • Semicolon, Comma ইত্যাদি Punctuation চিহ্নও একটি Token হতে পারে।

    উদাহরণ: ধরা যাক নিচের Code টি

    int x = 10;

    এই Code এর মধ্যে বিভিন্ন Token রয়েছে:

    • int → হল Keyword.
    • x → হল Identifier.
    • = → হল Operator.
    • 10 → হল Literal.
    • ; → হল Semicolon.

    Token এর Process:

    Code টি যখন Compile বা Interpreted করা হয়, তখন প্রথমে এটি Token গুলিতে ভেঙে ফেলা হয়, তারপর এসব Token কে Syntax এবং Semantics এর সাথে মিলিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়। এই প্রক্রিয়াকে Lexical Analysis বলা হয়।

    মোটকথা, Token হলো Code এর ভাষাগত উপাদান, যা পরবর্তী ধাপে Program টির কার্যক্রমে রূপ নেয়।


  • Keyword কি? Keyword এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর ব্যবহারগুলো কি কি?

    Keyword বলতে এমন শব্দকে বোঝানো হয় যা একটি Programming ভাষার জন্য সংরক্ষিত এবং সেই ভাষার নির্দিষ্ট Syntax এর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Keyword গুলি সাধারণত ভাষার Syntax এবং আচরণ নির্ধারণ করে এবং এগুলি সাধারণত Variable, Function বা অন্য কোন নামের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। C, C++, Java, Python ইত্যাদি ভাষার Keyword এর কিছু উদাহরণ ****নিচে দেওয়া হল:

    C/C++:

    • int (Datatype)
    • if (Condition(শর্ত) যাচাই)
    • while (Loop)
    • for (Loop)
    • return (Function থেকে মান Return)
    • void (Function এর কোন Return Value নেই)

    Java:

    • class (Class Define করা)
    • public (Access Specifier)
    • private (Access Specifier)
    • extends (World Class থেকে Inherit করা)
    • new (Object তৈরি)
    • static (Static Member বা Method)

    Python:

    • def (Function Define করা)
    • if (Condition(শর্ত) যাচাই)
    • elif (অতিরিক্ত শর্ত)
    • else (অন্যথায়)
    • return (Function থেকে মান Return)
    • import (Library বা Module Import করা)

    Keyword এর বৈশিষ্ট্য হল:

    1. সংরক্ষিত শব্দ: Keyword গুলি পূর্বনির্ধারিত এবং একে কোনও Variable বা Function এর নাম হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
    2. বিশেষ উদ্দেশ্য: প্রতিটি Keyword এর একটি নির্দিষ্ট ভূমিকা এবং উদ্দেশ্য থাকে যেমন Loop চালানো, শর্ত যাচাই করা, Function Define করা ইত্যাদি।
    3. ভাষাভিত্তিক: Keyword গুলি নির্দিষ্ট Programming ভাষার অংশ এবং এক ভাষার Keyword অন্য ভাষায় আলাদা হতে পারে।

    Keyword এর ব্যবহার:

    Keyword গুলি Program এ Logic বা Flow নির্ধারণে ব্যবহৃত হয়। যেমন:

    • শর্তমূলক বিবৃতি (if, else, switch) ⇒ Code এর নির্দিষ্ট অংশের কার্যক্রম নির্বাচন করে।
    • Loop (for, while, do-while): Code এর অংশ একাধিক বার চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
    • Function বা Method (return, def, void): একটি নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য Function বা Method Define করা।
    • Datatype (int, float, char, string): Variable এর Datatype ঘোষণা করতে ব্যবহৃত হয়।

    Keyword একটি Programming ভাষার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা নির্দিষ্ট কাজের জন্য সংরক্ষিত থাকে। এগুলি ভাষার মৌলিক কাঠামো গড়ে তোলে এবং সাধারণত ব্যবহারকারীর দ্বারা পরিবর্তন করা যায় না।


  • Identifier কি? Identifier এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? Identifier তৈরির নিয়মগুলো কি কি? এর ব্যবহারগুলো কি কি?

    Identifier হলো এমন একটি নাম যা Program এ একটি Variable, Function, Class, Object, Constant বা অন্য কোন উপাদানকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি এমন একটি Token যা Program এর বিভিন্ন উপাদানকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহার করা হয় এবং এর মাধ্যমে Code এর বিভিন্ন অংশে Reference বা Access করা হয়। উদাহরণ:

    C/C++:

    int age;              // এখানে 'age' একটি Identifier. 
    float salary;         // এখানে 'salary' একটি Identifier.

    Java:

    int age;              // এখানে 'age' একটি Identifier.
    String name;          // এখানে 'name' একটি Identifier.

    Python:

    name = "John"         # এখানে 'name' একটি Identifier.
    def greet():           # এখানে 'greet' একটি Identifier.
        print("Hello")

    Identifier এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. Letter, Number এবং Underscore ⇒ একটি Identifier শুধুমাত্র অক্ষর (A-Z, a-z), সংখ্যা (0-9), এবং Underscore(_) দিয়ে গঠিত হতে পারে। তবে, একটি Identifier কখনোই সংখ্যার দ্বারা শুরু হতে পারে না।
    2. Case Sensitive ⇒ অধিকাংশ Programming ভাষায় Identifier Case Sensitive হয়। অর্থাৎ, myVariable এবং myvariable দুটি আলাদা Identifier হিসেবে গণ্য হবে।
    3. Keyword হতে পারে না: Identifier কখনোই ভাষার সংরক্ষিত Keyword হতে পারে না (যেমন if, for, while ইত্যাদি)।
    4. পূর্বে Define: Program এ যেখানে Identifier ব্যবহার করা হবে, সেখানে সেটি পূর্বে Define(ঘোষণা) করা থাকতে হবে।

    Identifier তৈরির কিছু নিয়ম:

    • শুরু হতে হবে Letter বা Underscore দিয়ে:
      • সঠিক: age, _age, variable_name
      • ভুল: 1age (কারণ Number দিয়ে শুরু করা যাবে না)
    • কেবল Letter, Number এবং Underscore ব্যবহার করা যাবে:
      • সঠিক: my_var123, tempValue
      • ভুল: my-var (কারণ - চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না)
    • Identifier Keyword হতে পারবে না:
      • ভুল: if, while, for (কারণ এগুলি Keyword)
    • Case Sensitive:
      • Variable, variable এবং VARIABLE সবই আলাদা Identifier হিসেবে বিবেচিত হবে।

    Identifier এর ব্যবহার:

    Identifier গুলো ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন Programming উপাদানকে চিহ্নিত করার জন্য, যেমন:

    • Variable ⇒ একটি মান সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত Identifier.
    • Function ⇒ Code এর একটি অংশ যা একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে।
    • Class ⇒ একটি Data Structure বা Object এর Template.
    • Constant ⇒ একটি Value যা পরিবর্তনযোগ্য নয়।

  • Literal কি? Identifier এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর ধরন গুলো কি কি?

    Literal হলো Code এ সরাসরি ব্যবহৃত নির্দিষ্ট মান, যেমন Number, String, Boolean Value বা অন্য কিছু। এটি Program এ Data উপাদানগুলোকে নির্দেশ করে এবং সাধারণত Constant(অপরিবর্তনশীল) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উদাহারণঃ

    25   // এখানে 25 একটি Integer Literal
    19.99    // এখানে 19.99 একটি Float Literal
    "Alice"   // এখানে "Alice" একটি String Literal
    true   // এখানে true একটি Boolean Literal

    Literal গুলির বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. Pre-define Value ⇒ Literal গুলি সাধারণত কেবল Value কে প্রকাশ করে, যেমন একটি Number, String বা Boolean Value.
    2. Constant ⇒ Literal Value Code এ সরাসরি উল্লেখ করা হয় এবং এটি পরিবর্তনযোগ্য নয় (অর্থাৎ, এটি কোনও Variable এর মান নয়, বরং একটি নির্দিষ্ট মান)।
    3. Different Datatype Literal ⇒ প্রতিটি Datatype এর জন্য আলাদা Literal গঠন থাকে যেমন Integer, Float, String, Boolean ইত্যাদি।

    Literals এর ধরনগুলো হল:

    Literals গুলি সাধারণত Datatype অনুসারে বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, যেমন:

    • Integer Literal
    • Float Literal
    • String Literal
    • Character Literal
    • Boolean Literal

  • Statement কি?

    Statement বলতে একটি একক কাজ বা নির্দেশনা বুঝানো হয় যা Program কে একটি নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করতে বলে। এটি একটি একক Executable Unit যা Program এর কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি Programming ভাষায় একটি সম্পূর্ণ বিবৃতি, যা Computer কে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করতে বলে।

    যেমন, আমরা যখন একটি Program এ কোনো Value Assign করি, কোনো Condition পরীক্ষা করি, অথবা কোনো Loop চালায়, প্রতিটি কাজই একটি Statement হিসেবে গণ্য হয়।

    Statement এর কিছু উদাহরণ:

    1. Assignment Statement (Value Assign করা):

      • এটি একটি Statement যা একটি Variable এর Value দেয়।

      • উদাহরণ:

        int x = 10;  // x Variable এ 5 মান Assign করা হচ্ছে।
    2. Conditional Statement (শর্তাধীন Statement):

      • এটি একটি Statement যা একটি Condition(শর্ত) যাচাই করে এবং Condition সঠিক হলে কিছু কাজ করে।

      • উদাহরণ:

        if (x > 10) {
            printf("x is greater than 10\n");
            }            // Condition যদি সত্য হয়, তাহলে এই Code টি কার্যকর হবে।
    3. Looping Statement (Loop Statement):

      • এটি একটি Statement যা নির্দিষ্ট পরিমাণে Code পুনরাবৃত্তি করে।

      • উদাহরণ:

        for (int i = 0; i < 5; i++) {
            printf("%d\n", i);
        }         // 0, 1, 2, 3, 4 এই সংখ্যা গুলি Print করবে।
    4. Function Call Statement (Function Call Statement):

      • একটি Function Call করা একটি Statement হিসেবে গণ্য হয়।

      • উদাহরণ:

        printf("Hello, world!\n");  // print Function Call হচ্ছে।
    5. Return Statement:

      • এটি একটি Function থেকে Value ফেরত পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

      • উদাহরণ:

        int add(int a, int b) {
            return a + b;    // মান ফেরত দেয়।
        }  

  • Expression কি?

    Expression একটি Code এর অংশ যা মান তৈরি করে বা কোনো কার্য সম্পাদন করে। এটি এক বা একাধিক Variable, Operator এবং Function ব্যবহার করে কোনো মান বা ফলাফল উৎপন্ন করে। Expression সাধারণত একটি Statement এর অংশ হতে পারে এবং এর ফলাফল একটি মান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। Expression গুলি Computer কে কিছু গণনা বা কার্যক্রম করতে বলে, এবং সেই কার্যক্রমের শেষে একটি নির্দিষ্ট মান বা ফলাফল পাওয়া যায়। অর্থাৎ Expression এর ক্ষেত্রে Final একটা Result থাকবেই। যেমন:

    1. Arithmetic Expression(গাণিতিক Expression):

      • এটি গাণিতিক Operation সম্পাদন করে, যেমন যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি। এখানে এক বা একাধিক মান থেকে একটি ফলাফল বের করা হয়।

      • উদাহরণ:

        int x = 5 + 3 * 2;   // এখানে 5 + (3 * 2) একটি expression, যা 11 Result হিসেবে দেবে।
    2. Logical Expression:

      • এটি শর্ত যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন True বা False রিটার্ন করা।

      • উদাহরণ:

        int result = (x > 10 && y < 20);  // Expression: x > 10 এবং y < 20 
    3. Function Call Expression:

      • একটি Function Call ও একটি Expression হতে পারে, যা একটি মান প্রদান করে।

      • উদাহরণ:

        int y = add(5, 3);  // add(5, 3) একটি expression
    4. Assignment Expression:

      • Variable এর মান দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।

      • উদাহরণ:

        int x = 10;  // expression: x = 10

    সুতারাং, Expression হল এমন কোনো Code যা কোনো মান তৈরি বা উৎপন্ন করে, এবং এটি সাধারণত একটি Statement এর অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি একা থাকতে পারে না।


  • Syntax কি?

    Syntax বলতে বোঝায়, একটি Program লেখার নিয়মাবলী বা কাঠামো যা নির্দিষ্ট Programming ভাষার জন্য বৈধ (valid) এবং সঠিক (correct) Code লেখার নির্দেশিকা প্রদান করে। এটি ভাষাটির গঠন, শব্দ ব্যবহার, এবং নিয়মাবলী সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়। Programming ভাষার Syntax এর সঠিকতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে Program টি Computer দ্বারা সঠিকভাবে Parse এবং Execute করা যায়।

    Syntax মূলত একটি Program এর গঠন এবং লেখার নিয়মাবলীকে বোঝায়, যেগুলি যদি ভুলভাবে অনুসরণ করা হয়, তবে Program টি Compile বা Run হতে পারবে না। Programmer এর Syntax এর ভুলগুলি সাধারণত Compiler Error বা Syntax Error হিসেবে Output এ দেখা যায়। উদাহরণ:

    Valid(সঠিক) Syntax: C ভাষায় একটি সঠিক "Hello, World!" Print করার Program

    #include <stdio.h>
    
    int main() {
        printf("Hello, World!\n");  // সঠিক সিনট্যাক্স
        return 0;
    }

    এখানে printf("Hello, World!\n"); একটি সঠিক সিনট্যাক্স। এটি একটি ফাংশন কল, যেখানে সঠিক প্যারামিটার সহ ফাংশনটি ব্যবহার করা হয়েছে।

    Invalid(ভুল) Syntax: C ভাষায় একটি ভুল "Hello, World!" Print করার Program

    #include <stdio.h>
    
    int main() {
        printf("Hello, World!\n")  // ভুল সিনট্যাক্স: সেমিকোলন মিসিং
        return 0;
    }

    এখানে printf("Hello, World!\n") লাইনে সেমিকোলন (;) Missing, যা Syntax Error তৈরি করে।

    সুতারাং Syntax এর সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য Programmer এর ভাষার নিয়মাবলী মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।


  • Algorithm কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এটি আমাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

    Algorithm হলো একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য পরিকল্পিত ধাপের একটি সুসংগঠিত এবং পর্যায়ক্রমিক পদ্ধতি। Algorithm এর উদ্দেশ্য হলো কোনও কাজ সম্পাদন করতে, সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ধাপগুলিকে এমনভাবে সাজানো যাতে Computer বা মানুষ সেটি সঠিকভাবে এবং কার্যকরীভাবে অনুসরণ করতে পারে। Algorithm এর মাধ্যমে সমস্যার সমাধান, প্রক্রিয়া বা গাণিতিক গণনা করা হয়, যা Programming ভাষায় Code এ রূপান্তরিত হতে পারে। উদাহরণ:

    দুইটি সংখ্যার যোগফল বের করা:

    ধরা যাক, আমাদের দুটি সংখ্যা দেওয়া আছে এবং আমরা তাদের যোগফল বের করতে চাই।

    Algorithm:

    ১. দুটি সংখ্যা A এবং B ইনপুট হিসেবে নাও।
    ২. ফলাফল = A + B।
    ৩. ফলাফল আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করো।
    

    এটি একটি সহজ Algorithm যা দুটি সংখ্যার যোগফল বের করবে।

    সংখ্যা সন্নিবেশ sort করা (Bubble Sort):

    Bubble Sort একটি Algorithm যা একটি তালিকার উপাদানগুলোকে সাজিয়ে দেয়।

    Algorithm:

    ১. একটি তালিকা Load করো।
    ২. তালিকার প্রথম উপাদান থেকে শুরু করো।
    ৩. পরবর্তী উপাদানের সাথে তুলনা করো:
       - যদি প্রথম উপাদানটি বড় হয়, তাহলে দুইটি উপাদান একে অপরের সাথে বদলাও।
       - না হলে, কিছু করো না।
    ৪. পুরো তালিকা একবার Scan হওয়া পর্যন্ত পুনরাবৃত্তি করো।
    ৫. তালিকা সাজানো হলে, output হিসেবে প্রদর্শন করো।
    

    গাণিতিক সংখ্যার Factorial বের করার Algorithm:

    Factorial একটি গাণিতিক সংখ্যা যা N! দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং তা N থেকে 1 পর্যন্ত সব সংখ্যার গুণফল হয়।

    Algorithm:

    ১. একটি সংখ্যা N ইনপুট হিসেবে নাও।
    ২. ফলাফল = ১।
    ৩. যতদিন N > ১, ততদিন:
       - ফলাফল = ফলাফল * N।
       - N = N - ১।
    ৪. ফলাফল আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করো।
    

    Algorithm এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. নির্দিষ্ট পদক্ষেপ ⇒ Algorithm এর প্রতিটি পদক্ষেপ স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
    2. সমাপ্তি ⇒ Algorithm টি অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক Step এর মধ্যে শেষ হতে হবে। এটি Infinite Loop বা সমাপ্তিহীন হতে পারে না।
    3. Input এবং Output ⇒ Algorithm এ কিছু Input থাকতে হবে, যেগুলোর উপর প্রক্রিয়া চলবে এবং কিছু Output প্রদান করবে।
    4. সুস্পষ্টতা (Unambiguity) ⇒ প্রতিটি পদক্ষেপ এতটুকু স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট হতে হবে যাতে এটি কার্যকরীভাবে এবং সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করা যায়।
    5. গণনাযোগ্যতা ⇒ Algorithm এর সমস্ত Step এমনভাবে হতে হবে যে, Computer বা মানুষ সহজেই তা সম্পাদন করতে পারে।
    6. সামগ্রিকতা (Finiteness) ⇒ Algorithm টি অবশ্যই একটি সীমিত সংখ্যক Step এ শেষ হবে।

    Algorithm এর গুরুত্বগুলো হল:

    1. সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পথ ⇒ Algorithm সমস্যা সমাধানের জন্য সুসংগঠিত পদ্ধতি প্রদান করে যা ফলস্বরূপ Coding এর ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
    2. প্রদর্শনযোগ্যতা এবং পুনঃব্যবহারযোগ্যতা ⇒ একবার Algorithm তৈরি হলে, তা অন্য অনেক Program এ ব্যবহৃত হতে পারে।
    3. দ্রুততা এবং দক্ষতা ⇒ সঠিক Algorithm ব্যবহার করলে Program আরও দ্রুত এবং কম Resource ব্যবহার করে চলতে পারে।

  • Pseudo Code কি? এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি? এর উপকারিতাগুলো কি কি?

    Pseudo Code হলো Programming ভাষার বাইরে একটি সহজ, মানবপাঠ্য ভাষায় লেখা Algorithm এর বর্ণনা। এটি মূলত একটি Non Programming ভাষায় লেখা Program বা Algorithm এর কার্যপদ্ধতি বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। Pseudo Code এর উদ্দেশ্য হলো, কোনো Programming ভাষার নির্দিষ্ট Syntax ব্যবহার না করে, Programmer এর মূল ধারণা এবং কাজের প্রবাহ বর্ণনা করা। উদাহরণ:

    N সংখ্যার যোগফল বের করা:

    BEGIN
       SET sum = 0
       FOR each number from 1 to N
           ADD number to sum
       END FOR
       PRINT sum
    END
    

    এখানে, Pseudo Code টি নির্দেশ করে যে, আমরা ১ থেকে N পর্যন্ত সব সংখ্যার যোগফল বের করতে যাচ্ছি।

    একটি Number(সংখ্যা) কি Positive, Negative না শূন্য তা Check করা:

    BEGIN
       IF number > 0 THEN
           PRINT "Positive number"
       ELSE IF number < 0 THEN
           PRINT "Negative number"
       ELSE
           PRINT "Zero"
       END IF
    END
    

    এই Pseudo Code টি একটি Number Check করে এবং এটি Positive, Negative বা শূন্য হওয়া নির্ধারণ করে।

    Factorial বের করার জন্য Pseudo Code:

    BEGIN
       SET factorial = 1
       FOR each number from 1 to N
           SET factorial = factorial * number
       END FOR
       PRINT factorial
    END
    

    এখানে, Pseudo Code টি নির্দিষ্ট একটি সংখ্যা N এর Factorial বের করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করছে।

    Pseudo Code এর বৈশিষ্ট্যগুলো হল:

    1. সরল ভাষায় লেখা ⇒ Pseudo Code এ Programming ভাষার নির্দিষ্ট Symbol বা Syntax না ব্যবহার করে সাধারণ ভাষায় Program এর কাজের ধারা লেখা হয়।
    2. সহজ ও বোধগম্য ⇒এটি মূলত Programming জানেন না এমন ব্যক্তিদের জন্যও বোঝা সহজ হয়। এটি Algorithm বা সমস্যার সমাধানের ধাপগুলো স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে।
    3. নির্দিষ্ট ভাষায় বাঁধা থাকে না ⇒ এটি কোন নির্দিষ্ট Programming ভাষার গঠন অনুসরণ করে না, তাই আমরা যেকোনো ভাষায় Pseudo Code লিখতে পারি, তবে সাধারণত ইংরেজি ভাষা ব্যবহৃত হয়।

    Pseudo Code এর উপকারিতাগুলো হল:

    1. সহজ সমাধান বোঝানো ⇒ Programming ভাষায় না গিয়ে, সহজ ভাষায় Problem Solve করতে সহায়তা করে।
    2. Program Design ⇒ Coding শুরু করার আগে Problem বা Algorithm এর কাঠামো পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে।
    3. ভাষা নিরপেক্ষ ⇒ কোনো নির্দিষ্ট Programming ভাষার Syntax অনুসরণ না করায়, এটি সহজেই এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রূপান্তর করা যায়।
    4. দ্রুত সমাধান ⇒ জটিল Problem গুলির সমাধান সহজভাবে উপস্থাপন করতে এটি দ্রুত এবং কার্যকর উপায়।

  • Bug কি ? Debug কি?

    Bug:

    Bug হলো কোনো Program, Software বা System এ যে কোনো Error(ত্রুটি) বা ভুল যা তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে। Bug এর ধরন বিভিন্ন হতে পারে, যেমন Syntax, Logical, Runtime ইত্যাদি।

    Debug:

    Debug হলো Bug খুঁজে বের করে তা ঠিক করার প্রক্রিয়া। এটি Software Development এর একটি অপরিহার্য অংশ এবং এটি বিভিন্ন Tool ও কৌশল ব্যবহার করে করা হয়, যাতে Software টি সঠিকভাবে এবং কার্যকরীভাবে কাজ করতে পারে।


  • চলুন জেনে নিই, Programming এর মাধ্যমে কীভাবে একটি Problem এর সমাধান করা যায়?

    Programming করা হয় মূলত Computer এর মাধ্যমে কোন একটা Real Problem এর সমাধান করার জন্য। Problem সমাধান করার জন্য কিছু ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলঃ

    • Problem নির্ধারণ এবং বিশ্লেষণ ⇒ প্রথমে Problem টি কি তা বুঝতে হয় এবং বিশ্লেষণ করতে হয়। এর ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় Instruction গুলি তৈরি করা হয়।
    • Algorithm Design ⇒ Algorithm হল একটি ধাপে ধাপে Instruction যা Problem এর সমাধানের পথে নিয়ে যায়। এটি Planning Stage এ তৈরি হয়।
    • Coding ⇒ Algorithm কে Programming ভাষায় লিখে ফেলার প্রক্রিয়াকে Coding বলা হয়। এই ধাপে, Programmer এরা Syntax বা Language এর নিয়ম মেনে Code লিখে থাকে।
    • Compiling বা Interpreting: Code লেখা শেষে, এটিকে Compiler বা Interpreter এর মাধ্যমে Machine ভাষায় রূপান্তর করা হয়, যা Computer বুঝতে পারে।
    • Debugging ⇒ Program এ যদি কোনো Error(ত্রুটি) বা Bug থাকে, তবে তা সংশোধন করার প্রক্রিয়াকে Debugging বলা হয়।
    • Testing ⇒ Program টি কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য পরীক্ষা করা হয়। এতে Program এর কার্যক্ষমতা এবং নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করা হয়।
    • Code Maintenance বা Update ⇒ Program চালু হওয়ার পরও, এটি Maintain এবং Update করার প্রয়োজন হতে পারে নতুন Features যোগ করার জন্য অথবা Error(ত্রুটি) সংশোধন করার জন্য।

  • একজন Beginner হিসেবে "প্রোগ্রামিং এর আদ্যোপ্রান্ত" বইটি আমরা কেন পড়ব?

এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে আমরা Programming এবং তার Related বিষয়গুলো সম্পর্কে জানলাম। এখন আমাদের জানতে হবে Programming এর আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বিষয় যেগুলো প্রতিটি Programming Language এর ক্ষেত্রে জানা লাগবে। এই মৌলিক বিষয়গুলো হল, Variable, Datatype, Operators, Conditional Statement, Loop, Array, Function, Object. এই বিষয়গুলো সহজভাবে গল্প আকারে শেখার জন্য আমাদের একটা বই পড়তে হবে যেটা পড়ার মাধ্যমে আমাদের মৌলিক ধারনাগুলো খুব ভালভাবে বুঝতে পারব। বইটির নামে হচ্ছে “প্রোগ্রামিং এর আদ্যোপ্রান্ত”। বইটি লেখেছেন Web Development বা Technology এর জগতে আমাদের অনেকেরই পরিচিত দুইটি মুখ বাংলাদেশের দুইজন গর্বিত সন্তান “এইচ এম নাঈম(HM Nayem)” ভাই এবং “সেগুফা তারাঞ্জুম(Shegufa Taranjum)” আপু।

৩২০ পৃষ্টার এই বইটির মধ্যে মোট ১৫টি অধ্যায় রয়েছে। এই ১৫টি অধ্যায়ে Programming এর Mindset কিভাবে তৈরি করব, Programming এর মৌলিক বিষয়গুলো এবং মৌলিক বিষয়গুলো শেখার পর কি করব তা নিয়ে আলেচনা করা হয়েছে। যেমন -

  • প্রথম অধ্যায়(স্বপ্নে প্রোগ্রামিং) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • এখানে গল্প আকারে আলোচনা করা হয়েছে, একজন Beginner যখন Programming এর নাম শুনে বা Programmer হওয়ার স্বপ্ন দেখে তখন সে কি কি স্বপ্ন দেখে এবং তার মনে কি কি বিষয় উকি দিতে থাকে সেই বিষয়গুলো নিয়ে।
  • দ্বিতীয় অধ্যায়(নেশার নাম প্রোগ্রামিং) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • এখানে ভিন্ন ভিন্ন Perspective থেকে Programming কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
    • Computer এর মাধ্যমে আমরা আমাদের বাস্তব জীবনের কোন কোন Problem গুলোকে সমাধান করতে পারব সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    • এছাড়া Computer এর মূল কাজটা কি সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  • তৃতীয় অধ্যায়(ব্যক্তি ও কর্মজীবনে প্রোগ্রামিং) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • এখানে আলোচনা করা হয়েছে, Code, Mindset, নেশা। কীভাবে এই তিনটা বিষয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে Programmer হওয়ার বীজ এবং এগুলো কিভাবে জীবনে যেকোন কিছুতেই সফল হওয়ার আসল চাবিকাঠি?
    • এখানে আলোচনা করা হয়েছে, Programming ব্যক্তি ও কর্মজীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলতে পারে?
    • যেহেতু Programming থেকে Result পেতে অনেক সময় লেগে যায় তাই Programming শেখার শুরুতেই আমাদের এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে, ভিন্ন ভিন্ন Career সম্পর্কে জানতে হবে। তাই এখানে বিভিন্ন Job Role এবং তাদের কার কি কাজ তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    • IT জগতে যেহেতু Education Background Matter করে না শুধু Matter করে আমরা Skillful কিনা তাই অনেকে পড়াশোনা বাদ দিয়ে শুধু Programming করতে চায়। তাই Programming এর পাশাপাশি Academic পড়াশোনা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে।
  • চতুর্থ অধ্যায়(প্রোগ্রামিং কোন ভাষা না) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • যদি Computer শুধু Binary বুঝে থাকে তাহলে এত এত Programming Language কেন এসেছে?
    • Programming এবং Programming ভাষা কি একই বিষয় কিনা?
    • একটা Generation এ একটা Language না থেকে এতগুলো Language কেন আসলো?
    • এখানে C Family এর সদস্য ভাষাগুলোর সম্পর্কেও বলা হয়েছে।
    • Programming Paradigm কি? এর প্রকারভেদ এবং এগুলোর বিস্তারিত।
    • Compiler এবং Interpreter এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
    • Compiled ভাষা এবং Interpreted ভাষাগুলোর নাম এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
    • এত এত Programming Language কোনটা রেখে কোনটা শিখব? কোনটা শিখলে আমাদের জন্য ভাল হবে সেই বিষয় নিয়ে সুন্দরভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
    • এখানে আলোচনা করা হয়েছে, কিভাবে মাত্র তিনটি Programming Paradigm শিখে আমরা জনপ্রিয় Programming Language এ বস হয়ে যেতে পারব।
  • পঞ্চম অধ্যায়(কি শিখতে হবে) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • এখানে আলোচনা করা হয়েছে এত এত Programming ভাষার মধ্যে থেকে আমরা Beginners এরা কোন Programming ভাষাটা দিয়ে শুরু করতে পারি। এবং কেন এটা এটা দিয়ে শুরু করা উচিত।
    • এখানে C, C++, Java, JavaScript, Python Programming ভাষা নিয়ে একটা ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেমন এই Programming ভাষাগুলো Paradigm অনুসারে কোন ধরণের Programming ভাষা, এটা মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায়, এটা কোন কাজের জন্য ভাল, এটা কতটা দ্রুত, এটার Library Support কেমন, Problem Solving এর জন্য এই ভাষাটা কেমন, Beginner হিসেবে এই ভাষা দিয়ে শুরু করলে আমাদের ভাল হবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বলা হয়েছে।
    • Pseudo Code কি? এটা কেন ব্যবহার করা হয়? এটা কিভাবে তৈরি করব উদাহারণ এর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।
    • কিভাবে আমরা আসল Programming শেখা শুরু করব, কোন প্রকার Programming ভাষার জামেলা ছাড়া সেই বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে।

    💡 Note: দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম অধ্যায় পর্যন্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে Beginner এর সামনে Programming এর একটি Big Picture তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে করে Beginners এর মধ্যে Programming এর একটা Mindset তৈরি হয়। যেন Programming একটা নেশায় পরিণত হয়। কারণ Programming শেখা, এটা একটা লম্বা ভ্রমণ। যদি এটা নেশায় পরিণত না হয় তাহলে কিছু দিন করার পর আর ভাল লাগবে না। তাই এই চারটা অধ্যায়ে এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

  • ষষ্ঠ অধ্যায়(এগুলোই মৌলিক চাহিদা) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Fundamental বা মৌলিক বিষয় বলতে কি বুঝায়?
    • Programming এর মৌলিক বিষয়গুলো কি কি? এগুলো সম্পর্কে অল্প করে ব্যাখ্যা এবং এগুলো শিখতে কি পরিমাণ সময় লাগবে সেই সব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  • সপ্তম অধ্যায়(ভ্যারিয়েবল মানে পরিবর্তনশীল) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Variable কি? বাস্তব জীবনে আমরা কীভাবে Variable খুঁজে বের করতে পারি এটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    • Variable আমাদের কেন প্রয়োজন বা দরকার সেটা বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে উদাহারণসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
    • Datatype কি? Datatype কেন লাগবে? Datatype কয় ধরণের হয়ে থাকে তা উদাহারণসহ সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • অষ্টম অধ্যায়(মেশিন চালক প্রোগ্রামার) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Operator কি? বিভিন্ন ধরণের Operator, Operation কি?, Operand কি? এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বাস্তব জীবনের উদাহারণসহ সহজভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • নবম অধ্যায়(সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Condition কি? Condition আমাদের কেন দরকার? কয় ধরণের Condition আছে? বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে উদাহারণসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • দশম অধ্যায়(বালিশ বদল খেলা) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Loop কি? Loop আমাদের কেন দরকার? কয় ধরণের Loop আছে? বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে উদাহারণসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • একাদশ অধ্যায়(সাজানো গোছানো ডেটা) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Array কি? Array কিভাবে কাজ করে? Array আমাদের কেন দরকার? বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে গল্প আকারে উদাহারণসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
  • দ্বাদশ অধ্যায়(সবকিছুই অবজেক্ট) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Object কি? কেন আমরা Object ব্যবহার করব? কখন Array আর কখন Object ব্যবহার করব? এই বিষয়গুলো গল্প আকারে উদাহারণসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
    • Object আর Object Oriented Programming এক বিষয় কিনা সেটা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  • ত্রয়োদশ অধ্যায়(আমার একটাই কাজ) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত যা যা আলোচনা করা হয় তা হলঃ

    • Function কি? Function কেন এসেছে? কখন আমাদের Function লাগবে আর Function কীভাবে কাজ করে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
    • Function Argument, Function Parameter, Function Body, Return Statement নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
  • চতুর্দশ অধ্যায়(মাথায় চিন্তা আসে না) ⇒ আমাদের Programming Basic বিষয়গুলো শেখা শেষ। এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে Basic বিষয়গুলো শেখার পর আমরা কিভাবে বিভিন্ন Problem খুজে বের করব এবং কোথায় থেকে Problem গুলো খুজে পাব এবং সেগুলো কিভাবে আমরা Solve করব সেই বিষয়গুলো নিয়ে। আমাদের Programming শেখার মূল উদ্দেশ্যটা হচ্ছে Computer এর মাধ্যমে বাস্তব জীবনের Problem গুলোকে Solve করা। তাই আমরা যত Problem Solve করতে পারব আমাদের চিন্তাধারা ততই উন্নত হবে। তাই এই বিষয়টা নিয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

  • পঞ্চদশ অধ্যায়(শর্টকাটে প্রোগ্রাম) ⇒ এই অধ্যায়ে মূলত আলোচনা করা হয়েছে Shortcut এ Programming না শিখে কেন Longtime Programming শিখার মন-মানসিকতা তৈরি কতা উচিত। আমরা আমাদের আশেপাশে কয়েকজন মানুষকে দেখি অল্প কিছু শিখে Freelancing করে মাসে কিছু টাকা আয় করতেছে অল্প বয়সে। এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে। কেন এটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত সেটা নিয়েও এই অধ্যায়ে ভালভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া এখানে Less Effective Instant Solution এবং Most Effective Painful Solution নামে দুইটি Learning Method নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং এই দুইটা Method এর মধ্যে কোনটা আমাদের জন্য ভাল সেটা নিয়ে ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে।


💡 Note: Programming সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানলাম। এখন আমাদের পছন্দের যেকোন একটা Language(যেমন C, C++, Java, JavaScript, PHP, Python ইত্যাদি) Select করে আমাদের Practices চালিয়ে যেতে হবে।

Written By: Shahidul Islam

About

This repository I will write all of basic knowledge about programming. Here I will write about the topics that are common in every programming language.

Topics

Resources

Stars

Watchers

Forks

Releases

No releases published

Packages

No packages published